অনলাইন ডেস্ক: ইভানা নল নগ্ন হয়ে যাবেন যদি ক্রোয়েশিয়া আজ আর্জেন্টিনার সঙ্গে জেতে। ইন্সট্রাগ্রামে তিনি এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিলেন তার ভক্তদের। জানিয়ে দিলেন যে তিনি গ্যালারিতে যা করে আসছেন, তার চেয়েও এবার আরও বেশি কিছুই করবেন তিনি।
ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই গ্যালারিতে স্বল্পবসনা ললনাদের সারি। ফুটবলের এরকম রঙিন ছবি দেখে অভ্যস্ত ভক্তরা। কিন্তু এবার বিশ্বকাপের আসর বসছে কাতারে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে নিষেধের বেড়াজালে বাধা এখানকার সংস্কৃতি থেকে সমপ্রেম। পোশাক থেকে শুরু করে মদ্যপান! ফলে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এসব নিয়মকে আঙুল দেখিয়ে মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নল দারুণ মেজাজে আছেন।
ক্লিভেজ দেখিয়ে কাতারি দর্শকদেরও নিজের ফ্যান বানিয়ে ফেলেছেন। বাচ্চা থেকে বুড়ো, গ্যালারিতে তাকে সকলেই দেখছেন হা করে। সেই ছবিও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ক্রোয়েশিয়ার সমর্থনে কাতারে প্রতি ম্যাচেই থাকছেন ইভানা। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ চারে যায় ক্রোয়েশিয়া। এই ম্যাচেও ইভানা মাঠে। চেনা দেশের পতাকায় রাঙানো রিভিলিং পোশাকেই তিনি ফের আগুন জ্বেলেছেন গ্যালারিতে। এখানেই শেষ নয়, ফ্যানদের জন্য ভিডিয়ো পোস্ট করেও তাতালেন।
এক সাক্ষাৎকারে ইভানা জানিয়েছেন, মদ্রিচরা জিতলেই তিনি শরীরের সব আবরণ খুলে দেবেন। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জানা গিয়েছিল, কাতারের স্টেডিয়ামে বসে বিশ্বকাপ দেখতে গেলে দর্শকদের একাধিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ফ্যানদের খোলামেলা পোশাক একেবারেই নৈব নৈব চ। শরীর প্রদর্শনকারী যে কোনও পোশাকই এখানে নিষিদ্ধ। কাতারি আইনে এমনটা করলে মহিলাদের যেতে হবে কারাগারে। পুরুষরাও যদি টপলেস হয়ে যান, তাহলে দিতে হবে মোটা টাকার জরিমানা। হতে পারে জেলও।
ইভানা আরও বলেন, ‘আমি প্রথমে ভাবছিলাম যদি বিশ্বকাপই হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে সবাইকে স্বচ্ছন্দ্য পোশাক পরতে দিতে হবে। ফ্যানদের কোনও নিষেধাজ্ঞায় রাখা যাবে না। তারপর আমি কাতারি নিয়মের ব্যাপারে শুনে চমকে যাই। কী সব নিয়ম! কাঁধ, গলা, কোমর ও হাঁটু নাকি দেখানো যাবে না। আমি শুনে বলছিলাম ওএমজি! আমার তো ওই সব জায়গা ঢাকা এরকম কোনও পোশাকই নেই। এসব শুনে প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলাম।’
Leave a Reply