1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শিবালয়ে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ,লীগ দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা শৈশবের স্মৃতিময় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা স্কুল-কলেজের সভাপতি হতে গেলে এইচএসসি পাস লাগবে জানাযা শেষে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন নিহত পাইলট আসিম  একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাইলট আসিমের মা এখন পাগল প্রায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট জাওয়াদের মরদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে মানিকগঞ্জে মরিচের উৎপাদন হ্রাস লোকসানে চাষিরা সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন একই গ্রামের ৩ জন উপজেলা নির্বাচন:হরিরামপুরে সাইদুর সিংগাইরে সায়েদুল নির্বাচিত বুধবার হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচন: লড়াই হবে ত্রিমুখী

ছবির ফেরিওয়ালা : ক্যাম্পাস ছবিয়ালদের দিনলিপি

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৯১ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: সারাক্ষণ ছুটে চলা। এতোটুকু ফুসরত নেই। যেখানেই ঘটনা সেখানেই ছুটে চলা। তবে স্বাধীনতা অফুরান। এরা কেউ আবার ফটোসাংবাদিক নন। এরা কেবলই ফটোগ্রাফার। এদের কেউ আসেন শখে, আবার কেউ আসেন নেশায় কেউ বা ভাব-বুনিয়া নিয়ে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও তাদের কাজ কম নয়। মাঝে মধ্যে প্রাণের মায়া ছেড়ে ক্লিক করতে হয় ক্যামেরায়। ক্যাম্পাসের সংঘাত-সংকটে তারাও থাকেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ফটোসাংবাদিকদের পাশাপাশি ওরা একটা জায়গা করে নিয়েছেন। তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি তোলার মাধ্যমে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে উপস্থাপন করেন দেশ-বিদেশে। অংশগ্রহন করেন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায়। কুড়িয়ে আনেন সম্মান।

বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাস ফটোগ্রাফারদের দিনকাল কেমন যাচ্ছে? কী ধরেণর ছবি তুলতে পছন্দ করেন তারা? ফটোগ্রাফিতে তাদের প্রাপ্তি’ই বা কী? তাদের ছবি নিয়ে পপরিকল্পনা কি আগামীতে? নতুন যারা ফটোগ্রাফিতে আসতে চান তাদের উদ্দেশ্যেই বা কী বলতে চান তারা?

সমসাময়িক এসব বিষয় নিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস ফটোগ্রাফারদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।

আদনান রনি (সভাপতি, নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাব)-

বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাসে প্রায় সবাই শখের বসেই ফটোগ্রাফি করে থাকে। প্রফেশন হিসেবে নেয় না কেউই। বর্তমানে এই সেক্টরে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা।ফটোগ্রাফির বর্তমান ভ্যালু অনেক। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি থেকে শুরু করে প্রায় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই এখন নিজস্ব ফটোগ্রাফার রাখতে চায়।’ তিনি আরো জানান তিনি প্রকৃতি এবং মানুষের লাইফস্টাইলের ছবি তুলতে পছন্দ করেন। এছাড়াও বিয়ের মৌসুমে ওয়েডিং ফটোগ্রাফিও করে থাকেন। এই ছবি তোলার মাধ্যমে আপনি কী পেয়েছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি স্বাধীনতা পেয়েছি; বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সাথে মিশতে পেরেছি। আমি ভবিষ্যতেও ফটোগ্রাফি নিয়েই থাকতে চাই, বাংলাদেশের অপার সৌন্দর্য সবার সামনে তুলে ধরতে চাই।’ তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সারা বাংলাদেশে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করে বেড়ানো সংগঠন ‘পালকি’ গঠিত হয়েছে আমাদের এই নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাব থেকেই। নতুনদের জন্য আমাদের ক্লাবের দরজা সবসময় খোলা।আমাদের ক্লাবের উদ্দেশ্য হলো ক্যাম্পাসের সব ফটোগ্রাফারকে একটা প্ল্যাটফরমে এনে নিজেদের ফটোগ্রাফিক আইডিয়া একে অপরের সাথে শেয়ার করা এবং ক্যাম্পাসকে সারা দেশের কাছে রিপ্রেজেন্টেশন করা।

তারান্নুম রিনতু (সাবেক সহ সভাপতি, নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাব) –

বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাস ফটোগ্রাফারদের দিনকাল ভালোই যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। ক্যাম্পাস ভর্তি মানুষ, বিভিন্ন উৎসব পালিত হচ্ছে, সেই সাথে আমাদের এখানে সেখানে ছবি তোলাও চলছে। সবমিলিয়ে ভালোই। ফটোগ্রাফিতে আমাদের মাঝে অনেকের ছবিই সারা দেশের বিভিন্ন এক্সিবিশনের জন্য সিলেক্ট হচ্ছে, প্রাইজ পাচ্ছে, মূল কথা মানুষের ভালো লাগছে এইটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি। ছবি নিয়ে পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে বলেন, আরো ভালো ভালো ছবি তোলা, নতুন নতুন জিনিস শেখাই মূল লক্ষ্য। নতুন যারা ফটোগ্রাফিতে আসতে চান তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ফটোগ্রাফির জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার সৃজনশীল দৃষ্টি এবং এই কাজের প্রতি ভালোবাসা। ফোন দিয়েই ফটোগ্রাফি চর্চা শুরু করা সম্ভব তবে ফ্রেমিং, গ্রীডলাইন, কম্পোজিশন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফি ক্লাবের ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাব ক্যাম্পাসের অন্যতম সুন্দর একটা সংগঠন। ক্লাবের মেম্বারদের তোলা ছবি দেশের বিভিন্ন ইভেন্ট, এক্সিবিশনে যাচ্ছে এতে ক্যাম্পাসের সুনামও বৃদ্ধি হচ্ছে যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। ক্লাব নতুনদের ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী করছে এবং শেখাচ্ছে।

আবেদীন( ফার্মেসী বিভাগ)-

ফটোগ্রাফার শব্দটা একটা আর্টিষ্ট কে প্রকাশ করে। অন্য পেশা আর ফটোগ্রাফি এর মাঝে একটা সুস্পষ্ট দিক আলাদা করে দুদিকে। তা হলো, অন্য যা দেখেনা, একজন ফটোগ্রাফার ঠিক সে প্লেসেই হাজার ফ্রেম, হাজারটা ফোকাস ধরে ফেলে। এটি নিজের ভেতর থেকে আসতে হয়। তাই দিন কেমন যাচ্ছে তার প্রশ্নের জবাব হচ্ছে এটি ফটোগ্রাফার টু ফটোগ্রাফার ভিন্নতা প্রকাশ করে। আমার ক্ষেত্রে যেহেতু আমি এখনো নব্য তাই নতুন নতুন জিনিস শেখার মাঝ দিয়েই যাচ্ছে। কেমন ছবি তুলতে পছন্দ করেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সাধারণত পোট্রের্ট ছবিতেই বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে আমার ইচ্ছে আছে ন্যাচার আর স্ট্রিট ফটোগ্রাফিতে নজর দেয়ার। তাই এখন পোট্রের্ট কে স্ট্রিট এর সাথে কম্বাইন করে কিছু করার চেষ্টা করছি। ফটোগ্রাফি যেহেতু প্যাশন থেকে এসেছে তাই এর বিনিময়ে প্রাপ্তি বলতে সব তো পথচলা। তবে ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে পদযাত্রা হয়েছে। দেখা যাক কতটুকু করতে পারি। আসলে পরিবেশ, সিচুয়েশন অনেক কিছু নির্ভর করে। আমার কাছে যারাই আসে আমি পথ দেখিয়ে কিছু সুযোগ সৃষ্টি করি তাদের। ইচ্ছে আছে এই সেক্টরে লেগে থাকার, বাকিটা কপালে যা আছে। নব্যদের যারা ফটোগ্রাফিতে আসতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, নতুন যারা আসতে চায় তাদের উচিত আসলে সেক্টরটা বোঝা,  আর শেখার আগ্রহ নিয়ে আসা। এটা অনেক বড় ফিল্ড আর শেখার আগ্রহ থাকলে প্রতিনিয়ত শেখা হবে। যারা জুনিয়র তাদের ও উচিত হাম্বেল থাকা আর মনে রাখা। কারণ দিন শেষে সম্পর্ক এর গুরুত্ব সবার আগে। তিনি আরো জানান, শেষ একটি জিনিস লিখতে চাই। বর্তমানে সব পেশার মূল্য থাকলে কেন জানি এ সেক্টরের মূল্য এক শ্রেণীর মানুষের কাছে যেমন বেশি আবার অনেকের কাছে “এরে দু তিনটা ক্লিক করলেই তো হয়” আসলে ফ্রি তে একজন থেকে সময় নেয়া হচ্ছে, তার ফ্রেম, কম্পোজিশন কে ধারন করে একটা ছবি উঠছে। তাই যারা ছবি তুলাতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্য বলবো, এটিও একটা আর্ট। আপনার সুন্দর মূহুর্ত ১০ বছর পর এটার দ্ধারাই প্রকাশিত হবে।তাই এটির মূল্য দেয়া আবশ্যক।

পারভেজ খান জয় (ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ)-

ক্যাম্পাসে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি জিনিসটা একপ্রকার শখ থেকেই করা, তাই যখনই সময়-সুযোগ পাই, ছবি তুলতে বের হয়ে যাই। সব ধরণের ছবি তুলতেই ভালো লাগে, তবে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি ‘ল্যান্ডস্কেপ’, ‘স্ট্রিট’ এবং ‘লাইফস্টাইল’ ক্যাটাগরির ছবি তুলতে। সবসময় চেষ্টা করি প্রত্যেকটা ছবির মাধ্যমে একটা নতুন গল্প তুলে ধরতে। ফটোগ্রাফিতে প্রাপ্তি বলতে, আমি ক্যাম্পাসে ২০১৯ সালে “নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাব” কর্তৃক আয়োজিত “বাংলা দর্পণ : সিজন ৩”-এ তৃতীয় স্থান এবং “নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক” আয়োজিত “NSTUJA Photo Contest 2020”-এ প্রথম স্থান অধিকার করি। ক্যাম্পাসের বাইরে “জেলা প্রশাসন, মানিকগঞ্জ” কর্তৃক আয়োজিত “ফটো কনটেস্ট ২০২১”-এ দ্বিতীয় স্থান; “সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি” কর্তৃক আয়োজিত থার্ড ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন এন্ড কম্পিটিশন ২০২২, “Art of Light – Season 3”-তে মোবাইল সেকশনে ৩য় স্থান এবং “পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি” কর্তৃক আয়োজিত থার্ড ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন এন্ড কম্পিটিশন ২০২২, “Imagination Insight – Season 3”-তে অনারেবল মেনশন পাই। এছাড়া “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফার্স এসোসিয়েশন” কর্তৃক আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন এন্ড কম্পিটিশন, “Inquest Insight 6” এ মোবাইল ক্যাটাগরিতে সিলেক্ট হওয়া আমার একটি ছবি যথাক্রমে সাস্ট ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, আঁগারগাও এবং জামিনী রায় আর্ট গ্যালারি, কোলকাতায় প্রদর্শিত হয়। এছাড়া “Through The Lens : India” কর্তৃক প্রকাশিত “TTLI Photo Mag” এপ্রিল, ২০২১ সংখ্যায় আমার তোলা দুইটি ছবি প্রকাশিত হয়। বর্তমানে আমি “নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাব”-এর সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করছি। ফটোগ্রাফি নিয়ে আরো অনেক দূর যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি, আগামীতে নিজের তোলা ছবির মাধ্যমে দেশের গন্ডি পেরিয়ে পুরো বিশ্বের সামনে নিজ দেশের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চাই। নতুন যারা ফটোগ্রাফি নিয়ে চর্চা করতে চায়, তাদের জন্য পরামর্শ থাকবে, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ছবি তোলার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, ফটোগ্রাফির ব্যাসিক এবং কম্পোজিশন জেনে সেগুলা নিয়ে নিয়মিত চর্চা করে যেতে হবে। পরিশেষে, একজন ভালো ফটোগ্রাফার হওয়ার আগে নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

ইসমাইল তৌহিদ (ইনফরমেশন এন্ড কমুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং)-

আমি মূলত নেচার, লাইফস্টাইল, ল্যান্ডস্কেপ ছবি তুলতে বেশি পছন্দ করি। এর বাহিরে প্রফেশন হিসেবে আমাদের পালকি ওয়েডিং টিম এ সিনিয়র ফটোগ্রাফার হিসেবে আছি। ফটোগ্রাফি আমাকে অনেক গুলো ফ্রেমে বন্দী সুন্দর মূহুর্ত দিয়েছে। আমার কাছে আমার প্রতিটি ছবি জীবন্ত। যখনই কোন ছবির দিকে তাকাই তখন আমি ওই সময়টা তে ফিরে যেতে পারি, ফিল করতে পারি। এই অনুভূতিটা সুন্দর, প্রাণবন্ত। আমার ছবি নিয়ে প্ল্যান হচ্ছে গ্রাজুয়েশন শেষে ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা, প্রফেশন হিসেবে তো ফটোগ্রাফি আছেই, ভবিষ্যতে ও থাকার ইচ্ছা আছে এই সেক্টরে। আরেকটি ইচ্ছে হলো ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি করা। আমি বর্তমানে নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাবে সহযোগী অর্থ সম্পাদক পদে দায়িত্বরত আছি। আমি চাই মানুষ যেন আমাকে আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে মনে রাখে।

আমিনুল ইসলাম বুলবুল (শিক্ষা বিভাগ)-

ক্যামেরাই একজন ফটোগ্রাফারের তৃতীয় নয়ন।  প্রকৃতি, সবুজের স্নিগ্ধতা, আকাশের শুভ্রতা এসব কিছুই এক অন্য আঙ্গিকে তুলে ধরাই ফটোগ্রাফি। আজকাল মুঠোফোন অনেক সহজলভ্য।  আর এখন কমবেশি সবাই মোবাইলে ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করে। ছবি তুলতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। মূলত শখের বসেই আমার ছবি তোলা হয়, অনেক ভালো লাগে ছবি তুলতে। ফটোগ্রাফি নিয়ে আরো অনেক কিছু শেখা বাকি। একটা ভালো কিছু ক্যামেরাবন্দি করতে পারলে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। ক্যাম্পাসের সিনিয়র ফটোগ্রাফাররা আমার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকেন সবসময়।

মারুফ মিরাজ (শিক্ষা বিভাগ)-

প্রথমেই বলে নেই আমি খুব ভালো ফটোগ্রাফার নাহ এখানে কথা বলার মতো। এখনো শিখার চেষ্টায় আছি। তবে আমাদের ক্যাম্পাসে অনেক ভালো ও গুণী ফটোগ্রাফার আছেন তাদের তুলনায় আমি অতি নগণ্য। তাদের কাজ দেখে কিংবা  অনুপ্রেরণায় প্রতিদিন একটু একটু করে শিখে চলেছি নতুন কিছু। ফটোগ্রাফি ব্যাপারটা মূলত শখ থেকেই। এই কাজটায় কখন বিরক্তি আসেনা। ঘন্টার পর ঘন্টা ছবি তুলার জন্যে দাঁড়িয়ে থাকতে কখনো অসহ্য লাগেনা। এই ক্যাম্পাসের ফটোগ্রাফাররা অনেক ভালো ভালো কাজ করছেন। অনেকের আলাদা টিম আছে যারা প্রফেশনালি কাজ করেন। আর বিশেষ করে শিমুল ভাইয়ের কথা বলতেই হয় যিনি এখন বাংলাদেশের ফটোগ্রাফি জগতে খুবই পরিচিত একটা নাম। ক্যাম্পাসের ফটোগ্রাফি ক্লাবকে উনাদের মতো কিছু গুণী মানুষ তাঁদের সান্যিধ্যে রেখে প্রতিনিয়ত ফটোগ্রাফি ব্যাপারটাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তারাই আসলে আমাদের মোটিভেশন। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রোট্রেট ছবি তুলতে বেশি পছন্দ করি। ফটোগ্রাফি আমাকে অবসর সময়টাকে প্রোডাক্টিভ বানাতে সহয়তা করেছে। নিজের ২ টা টিম আছে চিত্রকল্প/ সানাইকাব্য। একটা টিম ক্যাম্পাসের ইভেন্ট কভার করে আরেকটা টিম ওয়েডিং ইভেন্ট কভার করে। অদূর ভবিষ্যতে ফটোগ্রাফির ইচ্ছাটাকে আরো বড় পরিসরে নিয়ে যেতে চাই। নিজের একটা কোম্পানি দাঁড় করাতে চাই যা একসময় দেশের বড় বড় ইভেন্ট কভার করবে। তবে এই লাইনে প্রফেশনালি কাজ করি বা না করি কিংবা যেই পেশাতেই থাকিনা এটা চালিয়ে যেতে চাই নিজের প্যাশন থেকেই।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :