নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের ১৭ জন শিক্ষার্থী প্রতারণার শিকার হয়ে ডিগ্রী তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দেয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর দায় নিবে কে ? পরীক্ষা দিতে না পেরে হতাশায় ভুগছে এসব শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা যায়, আজ (সোমবার ) ২৫ নভেম্বর জাতীয় বিশ্বাবিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী (পাস) তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল।শিক্ষার্থীরা এডমিট কার্ড তুলতে গত বৃহস্পতিবার কলেজে গেলে তাদের (১৭ জন) শিক্ষার্থীর কার্ড আসেনি বলে কলেজ থেকে তাদেকে জানানো হয়। এরপরও তাদেরকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বলা হয় কলেজ থেকে। তারা যথারীতি আজ সোমবার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে গেলে তাদেরকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রিন্সিপ্যালকে জানানোর পরও সে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এবং তাদেরকে কোন সহযোগীতা করেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, কলেজের প্রতিষ্ঠা সদস্য রুহুল আমিন মিঠুর কাছে তারা ডিগ্রী (পাস) তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পুরুনের জন্য ৩ হাজার টাকা করে জমা দেওয়া। উক্ত টাকা সে কলেজ ফান্ডে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাত করেছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগে উল্লেখ্য করেছে। এ ঘৃনীত কাজের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
নামা প্রকাশ না করার শর্তে একজন কলেজ শিক্ষক বলেন, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী কলেজ অধ্যক্ষ। এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে। কারণ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভাল-মন্দ দেখভালের দায়-দায়ীত্ব অধ্যক্ষের।
এব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ বাসুদেব কুমার দে শিকদারের নিকট সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সে কোন সদত্তোর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যান।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।যে ব্যক্তি ফরম ফিলাপের কথা বলে টাকা নিয়ে জমা দেয়নি এবং শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply