1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন

হরিরামপুরে গ্রাম আদালতে বিচার কার্যক্রম চালু

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪
  • ১৯৬ বার পড়েছেন
হরিরামপুরে গ্রাম আদালতে বিচার কার্যক্রম চালু

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে পরিচালিত গ্রাম আদালতের মাধ্যমে গ্রামের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষগুলো ন্যায় বিচারের লক্ষে ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অসহায় সাধারণ মানুষকে ন্যায় বিচার পেতে চলতি বছরের শুরুর দিকে জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের এজলাস নির্মাণের মধ্য দিয়ে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকালে উপজেলার চালা ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের এজলাসে বসে চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদকে বিচারকার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিচারিক সেবা ও স্থানীয় জনগণের মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং উচ্চ আদালতে মামলার জট কমানোর জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি’র আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তয় পর্যায়ে) প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে আবেদনকারী উপজেলার চালা ইউনিয়নের সাপাইর গ্রামের আব্দুস ছাত্তার ও মনোরুদ্দিনের দায়ের করা ফৌজদারি মামলার শুনানীর কার্যক্রম গ্রাম আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজি আব্দুল মজিদসহ অন্যান্য প্রতিনিধিগণ। এই গ্রাম আদালত কার্যক্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে দরিদ্র নারী পুরুষ বিচারিক সেবায় হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন। এছাড়াও অল্প সময়ে স্বল্প টাকায় মাত্র ১০/২০ টাকা ফিস দিয়ে ন্যায়, বিচার পাচ্ছেন সাধারণ জনগণ। বলতে গেলে এ যেন বাড়ির পাশে আদালত।

এ বিষয়ে প্রকল্প ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মো. জহির উদ্দিন জানান, এ প্রকল্পের কার্যক্রম মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার ৬৫টি ইউনিয়নে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় নারী পুরুষ বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজি আব্দুল মজিদ বলেন, গ্রাম আদালত কার্যকরী হলে গ্রামের অসহায় নারী পুরুষ ন্যায় বিচার পাবে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। টাকার অভাবে হয়রানী হয়ে জেলা শহরে গিয়ে যারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন তারা যথাযথ ন্যায় বিচার পাবে।

প্রকল্পটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা সমন্বয়কারীর মোশারফ হোসেন ও সাইদুজ্জামান।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :