শাহজাহান বিশ্বাস: মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বোয়ালী -আড়পড়া গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে রাতের বেলায় মাটি বহণকারি ট্রাক চলচল করায় বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। ভারি ট্রাকে মাটি বহন করে ইটভাটা ও বসত বাড়ির মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীরা। এমতাবস্থায় রাস্তটি মেরামত করা না হলে বৃষ্টি নামলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারে দুস্কর হয়ে পড়বে। অতি দ্রুত উক্ত রাস্তটি মেরামরেত জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
শিবালয় উপজেলার আড়পড়া থেকে বোয়ালী হয়ে আরিচা ঘাটে সহজে যাতায়াত এবং অত্র অঞ্চলের কৃষদের মাঠ থেকে ফসল ঘরে তোলার এক মাত্র রাস্তা এটি। ভারী জিনিস বহন করায় কাঁচা এ রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। ট্রাকের চাকায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে রাস্তার মাঝ দিয়ে নালার মতো তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি হলে কাদাযুক্ত হয়ে এ রাস্তাটি চলালের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়বে বলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারিরা জানিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা নষ্ট করে মাটি ব্যবসা করছেন বোয়ালী গ্রামের রহুলসহ আরো অনেকেই। মাটি ভর্তি ট্রাক রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ হওয়া এবং এখন সৃষ্টি হয়েছে ধুলার। বৃষ্টির দিনে কাদা হয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।এসব মাটি নেওয়া হয় উপজেলার ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে।
বিগত দুই সপ্তাহের বেশী সময় ধরে রাতের বেলায় মাটিভর্তি গাড়ি চলাচল করায় রাস্তাটি দেবে গেছে।এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা এখন অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সরকারি নিষেধা অমান্য করে কৃষি জমির মাটি বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এসব মাটি ব্যাবসায়ীরা। আর বেহাল সড়কের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণের।
বোয়ালী গ্রামের হোসেন আলী বলেন, মাটি ব্যাবসায়ীরা রাতের অন্ধকারে মাটির ট্রাক নেওয়ায় রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত হয়ে এখন পায়ে হাটাই কষ্ট হয়ে পড়েছে।
একই গ্রামের যুবরাজ মোল্লা বলেন, স্থানীয় মাটি ব্যাবসায়ীরা রাতের বেলায় মাটির ট্রাক নিয়ে আমাদের রাস্তাটির এ বেহাল দশা করেছে। আমরা এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান, ঘোড়ার গাড়িতে করে ফসল ঘরে নিয়ে থাকি। কিন্তুু এ ফসল ঘরে নেওয়া অনেক কষ্ট হবে। তাই অতি জরুরী এই রাস্তাটি যেন মেরামতের দাবী জানান তিনি।
বোয়ালী গ্রামের টিটু মিয়া বলেন, মাটি ব্যাবসায়ীরা রাস্তার অবস্থা একেবারেই খারাপ করে ফেলেছে। মেরামত না করলে ভ্যান এবং ঘোড়ার গাড়িতে করে আমাদের এবার ফসল ঘরে আনা অনেক কষ্ট হবে।
এব্যাপারে মাটি ব্যাবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, রাস্তা আগে থেকেই খারাপ ছিল। আমাদের মাটি নেওয়ার জন্য যে টুকু খারাপ হয়েছে আজকে দিনের মধ্যেই আমরা ঠিক করে দিবো।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, জনসাধারণের চলালের রাস্তা নষ্ট করে কোন কাজ করা যাবে না। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply