শিবালয় (মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি: গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে। ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষ পুরান শীতের কাপড় কেনাকাটার জন্য শিবালয়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে যাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুরান কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।
রোববার বিকেলে উপজেলার উথলী হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উথলী হাটের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দেড় শতাধিক শীতের পুরান কাপড়ের দোকান বসেছে। প্রতিটি দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছেন। এসব দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। শিশুদের শীতের পোশাক থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষের শীতের পোশাকের দাম কম হওয়ায় বিক্রি অনেক বেড়ে গিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ঘিওর থেকে শীতের পোশাক বিক্রি করতে আসা সুমন, সেলিমসহ অনেক বিক্রেতারা জানান, এ হাটে এসে প্রচন্ড শীতের কারনে তাদের বিক্রি তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়ে গেছে। চলতি শীতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। এর আগে এতো শীতের পোশাক বিক্রি হয়নি।
উপজেলার বোয়ালী গ্রামের শীতের পোশাক কিনতে আসা খুশি বেগম জানান, তার ছেলের জন্য ১৫০ টাকা দিয়ে একটি জ্যাকেট ক্রয় করেছেন। গতহাটে এ জ্যাকেটের দাম ছিল ১ শ’ ১০/২০ টাকা। তবে প্রচন্ড শীতের কারনে পুরান শীতের পোশাকের দামও আগের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে।
উপজেলার নালী গ্রামের আবুল হোসেন, মামুন ও কাশেমসহ হাটে আসা নিম্ন আয়ের কয়েকজন ক্রেতা জানান, তীব্র শীতে পুরান পোশাকের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনশ’ টাকার পোশাক ৫’ শত টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। এছাড়া, সাধারন মানুষ প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। এ ঠান্ডার জন্য নিম্ন আয়ের মানুষের ফসলি মাঠসহ রিক্সা ভ্যান চালাতে নানা সমস্যা হচ্ছে বেশি। প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে নিম্ন আয়ের মানুষ ঠিক মতো তাদের কাজ-কর্ম করতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, এ বছর এ উপজেলায় সরকারীভাবে দরিদ্রদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ও আশ্রয়ন প্রকল্পসহ প্রায় তিন হাজার ৬শ’ কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
Leave a Reply