1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন

রায়পুরের ফুটপাতে সন্ধ্যা হলেই পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে যায়

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৮ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: সন্ধ্যা হলেই পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে লক্ষ্মীপুরের রাস্তায়। শীতের আমেজ শুরু হতেই রায়পুরের অলিগলি, পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বাহারি সব পিঠাপুলি নজড় কাড়ছে পিঠাপ্রেমীদের। সন্ধ্যা হলেই পিঠাপুলির দোকানগুলোতে বেচা-বিক্রির ধুম পড়ে। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সন্ধ্যার পর থেকেই উপজেলার জনবহুল অলিগলি ও রাস্তার পাশের দোকান গুলোতে দাঁড়িয়ে বা বসে লাইন দিয়ে পিঠা খেতে দেখা যায় অনেককেই।

শীত মৌসুমে প্রতিটি বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর অয়োজন গ্রাম বাংলার চিরচারিত রীতি। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ঘরে ঘরে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ব্যস্ততা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় নিজ হাতে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন কমে গেলেও পিঠাপ্রিতি ও ভোজন কিন্তু থেমে নেই। পিঠাপ্রেমীরা এখন দোকানের পিঠার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলা এড়াতে অনেকেই দোকান থেকে পিঠা ক্রয় করে স্বাদ মেটাচ্ছেন। আর এ পিঠা বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চুলার অল্প আঁচে ধোঁয়া উঠছে। তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু চিতই, ভাপাসহ অন্যান্য পিঠা। আর চুলা থেকে নামানোর পর মুহূর্তেই তা চলে যাচ্ছে অপেক্ষমাণ ক্রেতার হাতে। দোকানে ভাপা, পাটিশাপটা, তেলের পিঠা ও চিতই পিঠা বিক্রি হলেও চিতই আর ভাপা পিঠার চাহিদাই বেশি। চিতই পিঠার সঙ্গে সরিষা ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, মরিচ ভর্তা ও ধনিয়াপাতা ভর্তা, গুড় ও নারিকেল দেওয়া হয়।

ডিম দিয়েও বানানো হয় চিতই পিঠা। ভাপা পিঠা ৫-১০ টাকা, ডিমচিতই ১৫ টাকা, তেলের পিঠা ৫ টাকা, পাটিশাপটা ১০ টাকায় বিক্রি হয়। ক্রেতারা রাস্তার পাশে দোকানে বসে সেই পিঠা খাচ্ছেন। কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য। উপজেলা শহরের বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে, মোড়ে, পাড়া-মহল্লায় ও অলিগলি আর ফুটপাতে গড়ে উঠেছে কয়েকশ মৌসুমী পিঠার দোকান।

রায়পুর এলাকায় একটি পিঠার দোকানে কথা হয় জিয়া সরকার নামে এক চাকরিজীবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। পেশাগত কারণে প্রায় ৭ বছর যাবত রায়পুরে থাকেন। প্রতিবছরই শীত মৌসুমে এখানে পিঠা খেতে আসেন।

রায়পুর উপজেলা গেইট সংলগ্ন টি,সি রোডের মুখে রাস্তার পাশে মৌসুমী পিঠা বিক্রেতা মা সাহিদা বেগম ও ছেলে মো. সেলিম বলেন, ভাপাপিঠা, চিতই পিঠা ও চাউলের চাপটি বিক্রি করেন তারা। তাদের দোকানে ভালোই বেচা-বিক্রি হয়। সাংসারিক প্রয়োজনে একটি এনজিও থেকে কিছু টাকা নিয়েছেন তারা। পিঠা বিক্রির আয় থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার কিস্তি দিয়েও তার সংসার ভালোই চলছে। এছাড়া মৌসুমি পিঠা বিক্রি শেষে ছেলে মো. সেলিম বিক্রি করেন আখের রস, আর মা সাহিদা বেগম গৃহিণীর দায়িত্ব পালন করেন।সুত্র:সময়ের আলো

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :