1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শিবালয়ে তিন খানের লড়াইয়ে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ‘সোনার বাংলা নিউজ’ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ -২০২৪ এ ঢাকা বিভাগীয় পর্যায় এন পি আই মানিকগঞ্জ এর অর্জন। শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কারিগরি) শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কারিগরি) ঘিওরে সব বয়সের ভোটারদের মাঝে সারা ফেলেছে জনি হরিরামপুরে ভাঙন আতংকে দিন পার করছে পদ্মা পাড়ের মানুষ সিংগাইরে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় হেলপার নিহত ঘিওর উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে জনির ব্যাপক জনসংযোগ ঘিওরে গলায় লিচুর বিচি আটকে এক ব্যাক্তির মুত্যু মানিকগঞ্জে প্রশিক্ষণের খাবার খেয়ে অসুস্থ প্রশিক্ষক ও শিক্ষকেরা সিংগাইরে হিসাবরক্ষণ অফিসের ৩ দিন ব্যাপি সেবা সপ্তাহের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শিবালয়ে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ,লীগ দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা

যে আমল জীবনে সচ্ছলতা আনে

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
  • ১০৪ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: মানুষের প্রত্যাশা প্রাচুর্যময় জীবন। কেউ চায় না তার জীবনে অভাব ও অর্থনৈতিক সংকট আসুক। কিন্তু জীবন-জীবিকা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে। তিনি যাকে রিজিকে প্রশস্ততা দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা রিজিক সংকুচিত করে দেন।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বলুন, নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকদাতা’ (সুরা সাবা : ৩৯)। তাই রিজিক বৃদ্ধি ও আর্থিক সংকট কেটে ওঠার জন্য সবাইকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে হবে এবং হালাল পন্থায় রিজিক অন্বেষণের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি কুরআন-সুন্নাহয় বিশেষ কিছু আমলের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো রিজিক বৃদ্ধি ও আর্থিক সংকট থেকে উত্তরণে খুবই উপকারী। সেগুলোর ওপর আমল করার চেষ্টা করে যাওয়া কর্তব্য।

তওবা-ইসতেগফার : পার্থিব জীবনের যত অকল্যাণ, বিপদাপদ, দুর্ভিক্ষ, মহামারি এসব মানুষের হাতের কামাই। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে’ (সুরা রুম : ৪১)। তাই অন্যান্য বালা-মসিবতের মতো আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠা এবং রিজিক বৃদ্ধির জন্যও বেশি বেশি ইসতেগফার করতে হবে। কেননা মুমিনের জীবনে তওবা-ইসতেগফারের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। অধিক পরিমাণে ইসতেগফার এবং বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া রিজিক বৃদ্ধির কারণ। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইসতেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৬৭৭)

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা : অনেকে অর্থ খরচ হওয়ার ভয়ে আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নিতে চায় না। অথচ আত্মীয়স্বজন একে অপরের খোঁজখবর নেওয়া, বিপদ-আপদে সাধ্য ও সামর্থ্যরে আলোকে সাহায্য-সহযোগিতা করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। দুনিয়াতেই এর অনেক সুফল পাওয়া যায়। তন্মধ্যে একটি হলো, এর মাধ্যমে রিজিক ও আয়ু বৃদ্ধি পায়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে লোক তার জীবিকা প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫)

তাকওয়া অবলম্বন করা : তাকওয়া অর্থ আল্লাহকে ভয় করা এবং তাঁর অবাধ্যতা ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে তথা তাকওয়ার পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য প্রত্যেক সংকট এবং বিপদাপদ থেকে উত্তরণের সহজ উপায় বের দেন। অভাব-অনটন দূর করে তাকে ধারণাতীত রিজিক দান করেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যদি কেউ আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য সংকট থেকে উত্তরণের কোনো একটি পথ বের করে দেবেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিজিক দান করবেন, যা তার ধারণার বাইরে।’ (সুরা তালাক : ২)

সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করা : এটি পবিত্র কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরা। অভাব ও আর্থিক সংকট উত্তরণে এই সুরা তেলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অসুস্থ হলে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওসমান (রা.) তাঁকে দেখতে যান। তাঁর সার্বিক খোঁজখবর নেওয়ার পর ওসমান (রা.) বললেন, ‘আমি কি আপনার জন্য বায়তুল মাল থেকে কোনো সম্পদ বরাদ্দ দেব?’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, ‘আমার কোনো সম্পদের প্রয়োজন নেই।’ ওসমান (রা.) বললেন, ‘এটি আপনার পর আপনার সন্তানদের উপকারে আসবে।’

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, ‘আপনি চিন্তা করছেন যে আমার মৃত্যুর পর আমার সন্তানরা দারিদ্র্য ও উপবাসে পতিত হবে। কিন্তু আমি এরূপ চিন্তা করি না। আমি আমার কন্যাদের সুরা ওয়াকিয়া শিক্ষা দিয়েছি এবং জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করে। আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে সে কখনো অভাবগ্রস্ত হবে না, অনাহারে থাকবে না, রিজিকের অভাবে কষ্ট করবে না, তাকে কখনো দারিদ্র্য স্পর্শ করতে পারবে না’ (বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান : ২৪৯৮)। মহান আল্লাহ সবাইকে আন্তরিকভাবে এসব আমল করার এবং আর্থিক সংকট থেকে উত্তরণের তওফিক দিন। সুত্র: সময়ের আলো

মুহাদ্দিস, জামিয়া ইমদাদিয়া আরাবিয়া শেখেরচর, নরসিংদী

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :