1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র আর মির্জা ফখরুল ভয় দেখায়

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১১৩ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর ভয় দেখায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ভেনেজুয়েলার সরকারের পতন হয়নি। পাল্টা সরকার চেষ্টা করেও বসাতে পারেনি। নিষেধাজ্ঞায় সুদানের দুই জেনারেলের যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। আপনাদের নিষেধাজ্ঞা সোমালিয়ায় প্রতি মিনিটে একজন মানুষ না খেয়ে মরছে। সেটা তো বন্ধ করতে পারেননি। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেননি।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশকে থামাতে পারেনি। আজও  নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করি না। আমরা পরোয়া করি আমাদের সংবিধান। আমরা চলব আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, আমরা কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মানি না। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যতদিন আছে, ততদিন আমরা লড়ে যাব। এই বীরের দেশে বীর জনতা, কারো কাছে মাথা নত করবে না। কাজেই আমরা যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, নিষেধাজ্ঞায় ভয় দেখাবেন না।

বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নিজেরাই রাজনীতি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য যেই কথা বলছে, তার চেয়ে বেশি রাজনীতি করেছে বিএনপি।  তাকে নিয়ে রাজনীতি করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না। মির্জা আব্বাস ঝিনাইদহের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছে আজ নাকি চাঁদরাত, চাঁদ রাতের আনন্দ। কিছু লোকজন দেখে মির্জা আব্বাস আপ্লুত হয়ে চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখছে। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন মনে মনে দেখছে। মির্জা আব্বাস সাহেব যত চাঁদ রাত দেখুন, আপনাদের এই স্বপ্ন, রঙিন বেলুনের মতো অচিরেই চুপসে যাবে। ক্ষমতার মুখ আপনারা দেখবেন না।

স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বারবার আসতে পারব না, ভোটের জন্য তৈরি হয়ে যান। ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বারবার আসব না, আপনারাই শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের কাছে যাবেন। নৌকার হয়ে শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাইবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই খেলা শুরু হয়ে যাবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ক্যাপ্টেন আসতেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শেষে ক্যাপ্টেন এখন ওয়াশিংটনে আছেন। প্রস্তুত হয়ে যান, খেলা হবে। নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের অপরাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।  ঢাকা আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে। ২০০১ সাল ভুলে যান। কারো গায়ে আঘাত করলে, পালটা আঘাত হবে। কোনো অবস্থায় ছাড় হবে না।

বিএনপি মহাসচিবের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কাঁদতে কাঁদতে কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে। তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই, মির্জা ফখরুল। আপনাদের পিতৃহত্যা, ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধ নেবোই। বাংলার মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহম্মেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মুজিবুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকুর হোসেন সাকু, কোষাধ্যক্ষ জসীম মাহমুদ, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম. ই মামুন প্রমখ।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন,  বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরই দায় নিতে হবে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছেন। আপনারা যদি মনে করেন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার তাহলে কেন আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন না। সকাল-বিকাল রাস্তায় বসে নাটক বন্ধ করেন। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আপনারা নাটকবাজি করছেন। যদি বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হয় তাহলে এর দায়-দায়িত্ব বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বহন করতে হবে, অন্য কারো নয়।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা কোন পরাশক্তির কাছে মাথা নত করব না। কিভাবে একটি সফল নির্বাচন করতে হয় আওয়ামী লীগ জানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামী নির্বাচনেও দেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আওয়ামী লীগকে জয় যুক্ত করবে।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :