1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শিবালয়ে তিন খানের লড়াইয়ে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ‘সোনার বাংলা নিউজ’ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ -২০২৪ এ ঢাকা বিভাগীয় পর্যায় এন পি আই মানিকগঞ্জ এর অর্জন। শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কারিগরি) শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কারিগরি) ঘিওরে সব বয়সের ভোটারদের মাঝে সারা ফেলেছে জনি হরিরামপুরে ভাঙন আতংকে দিন পার করছে পদ্মা পাড়ের মানুষ সিংগাইরে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় হেলপার নিহত ঘিওর উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে জনির ব্যাপক জনসংযোগ ঘিওরে গলায় লিচুর বিচি আটকে এক ব্যাক্তির মুত্যু মানিকগঞ্জে প্রশিক্ষণের খাবার খেয়ে অসুস্থ প্রশিক্ষক ও শিক্ষকেরা সিংগাইরে হিসাবরক্ষণ অফিসের ৩ দিন ব্যাপি সেবা সপ্তাহের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শিবালয়ে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ,লীগ দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা

আল্লাহর সুদৃষ্টি ও আনুকূল্য লাভে করণীয়

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩
  • ১১৯ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: মুমিনের জীবনে আল্লাহর ভালোবাসা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। আল্লাহর ভালোবাসায় মুমিনের অন্তরের শক্তি, আত্মার খোরাক ও চোখের প্রশান্তি। আল্লাহর প্রতি মুমিনের ভালোবাসা তার ঈমানের দাবি। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ছাড়া মুমিনের ঈমান পূর্ণতা লাভ করে না।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তিনটি জিনিস যার মধ্যে পাওয়া যাবে সে ঈমানের স্বাদ লাভ করবে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) তার কাছে অন্য সবকিছু থেকে প্রিয় হবে’ (বুখারি : ৬৯৪১)। মানুষ তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আনুকূল্য লাভ করতে কিংবা আপন মনিবের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করতে তার পছন্দসই ও ভালোবাসার অনুকূল কাজ করে। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ আমাদের প্রকৃত মনিব, মালিক, সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা। সৃষ্টি হিসেবে প্রতিটি মুহূর্তে আমরা তাঁর দয়া, অনুকম্পা, আনুকূল্য ও সুদৃষ্টির ভিখারি। তাই আমাদের কর্তব্য তাঁর ভালোবাসা ও পছন্দ কী, তা জানা ও মানার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের আলোকে এমন কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরা হলো।

পবিত্রতা অবলম্বন

মানবজীবনে পবিত্রতা অবলম্বন করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্রাব-পায়খানার পর শৌচকর্ম বা ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা এবং স্ত্রী গমনের পর গোসল করা নিতান্ত অপরিহার্য। পবিত্রতা অবলম্বন না করার কারণে অনেক সময় নামাজ বর্জন করা হয়। শয়তান অপবিত্রতাকে নামাজ বর্জন ও ইবাদত-বন্দেগি পরিত্যাগ করার বাহানা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চালায়। তাই প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলিমের জন্য সমীচীন হলো পবিত্রতা অবলম্বন করে চলা। সবসময় পবিত্র থাকার প্রয়াস চালানো। যারা পবিত্রতা অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন ও ভালোবাসেন। কুরআনে এসেছে, ‘তোমার কাছে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে ঋতুস্রাব সম্পর্কে।’ বলে দাও, ‘এটা অপবিত্র।’ কাজেই তোমরা স্রাবরত অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাকো। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন করো তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারী লোকদের পছন্দ করেন (সুরা বাকারা : ২২২)। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি কখনো সেখানে দাঁড়াবে না, তবে যে মসজিদের ভিত্তি রাখা হয়েছে তাকওয়ার ওপর প্রথম দিন থেকে, সেটিই তোমার দাঁড়ানোর যোগ্য স্থান। সেখানে রয়েছে এমন লোক, যারা পবিত্রতাকে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা : ১০৮)

সৎকাজ সম্পাদন

কর্ম দুই প্রকার-সৎকর্ম ও অসৎকর্ম। সৎকর্ম সবসময় সুন্দর, শোভনতর ও কল্যাণকর। আর অসৎকর্ম সর্বদা কুৎসিত, কদাকার ও অকল্যাণকর। সৎকর্ম চিরকাল করণীয় ও প্রশংসনীয়। পক্ষান্তরে অসৎকর্ম চিরদিন ঘৃণ্য, পরিত্যাজ্য ও বর্জনীয়। তাই মানুষের জন্য সমীচীন হলো সবসময় সৎকর্ম সম্পাদন করা এবং অসৎকর্ম পরিহার করে চলা। যারা সৎকর্ম সম্পাদন করে তারা মানুষের প্রিয় পাত্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তায়ালারও প্রিয়ভাজন হয়ে যায়। আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের ভালোবাসেন মর্মে কুরআনে এসেছে, ‘যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন’ (সুরা আলে ইমরান : ১৪৮)। আরও বলেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, সে জন্য তাদের কোনো গুনাহ নেই, যখন ভবিষ্যতের জন্য সংযত হয়েছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করেছে। এরপর সংযত থাকে এবং বিশ্বাস স্থাপন করে। এরপর সংযত থাকে ও সৎকর্ম করে। আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়েদা : ৯৩)

তাকওয়া অবলম্বন

তাকওয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো বিরত থাকা, নিবৃত্ত থাকা ও সাবধানতা অবলম্বন করা। ব্যবহারিক অর্থে আল্লাহর ভয়, পরহেজগারি, দ্বীনদারি ও ধার্মিকতা বোঝায়। আর ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় অন্যায়, অপরাধ, অনাচার ও পাপাচার হতে নিবৃত্ত

থাকাকে তাকওয়া বলা হয়। যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে তাকে মুত্তাকি বলা হয়। মুত্তাকি শব্দের অর্থ হলো খোদাভীরু, পরহেজগার ও ধর্মপরায়ণ। তাকওয়া অবলম্বন করে এমন পরহেজগার, ধর্মপরায়ণ ও খোদাভীরু লোকদের মহান আল্লাহ ভালোবাসেন। আরও বলেন, ‘যে লোক নিজ প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করবে এবং পরহেজগার হবে, অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান : ৭৬)

অনুগ্রহকরণ

দয়া ও অনুগ্রহ মহত্ত্বের পরিচয় বহন করে। করুণা ও অনুগ্রহের চর্চা পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের সৃষ্টি করে। তাই মানুষের জন্য সমীচীন হলো একে অপরের সঙ্গে করুণা ও অনুকম্পার ব্যবহার করা। সবার প্রতি দয়া ও অনুগ্রহের আচরণ করা। মহান আল্লাহ দয়াশীল ব্যক্তিবর্গ ও অনুগ্রহকারী লোকদের ভালোবাসেন। মহান আল্লাহ অনুগ্রহের আচরণ পছন্দ করেন। আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করো। আল্লাহ অনুগ্রহকারী লোকদের ভালোবাসেন’ (সুরা বাকারা : ১৯৫)। আরও বলেন, ‘আপনি সর্বদা তাদের কোনো না কোনো প্রতারণা সম্পর্কে অবগত হতে থাকেন, তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া। অতএব আপনি তাদের ক্ষমা করুন ও মার্জনা করুন। আল্লাহ অনুগ্রহকারী লোকদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়েদা : ১৩)

আল্লাহর ওপর ভরসা

মানুষ অনেক সময় বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত নেয়। কাক্সিক্ষত কাজ সম্পন্নও করে অনেক সময়। কিন্তু এই কাজের সুফল আনয়ন বা কুফল প্রতিরোধকরণ তাদের আওতাধীন থাকে না। কাজের ব্যর্থতা ও সফলতা সম্পর্কে মানুষের কিছুই জানা থাকে না। তাই কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া কিংবা তা সম্পন্ন করার পর এর সুফলপ্রাপ্তির লক্ষ্যে মানুষের জন্য সমীচীন হলো আল্লাহ তায়ালার ওপর পূর্ণাঙ্গভাবে ভরসা করা ও শতভাগ আস্থা রাখা। আল্লাহর ওপর ভরসা করে এমন সব লোককে তিনি পছন্দ করেন ও ভালোবাসেন। কুরআনে এসেছে, ‘অতঃপর যখন কোনো কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করুন। আল্লাহ তাঁর ওপর ভরসাকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৫৯)

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিখিল বিশ্বের অধীশ্বর, নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডলের অধিপতি ও সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর ভান্ডারে কোনো অভাব নেই। তাঁর ধনৈশ্বর্যের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। অতএব তাঁর সুদৃষ্টি ও আনুকূল্য লাভ করা গেলে ইহলৌকিক সমুদয় কল্যাণ এবং পারলৌকিক সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল লাভ করা সুনিশ্চিত। তাই আসুন, আমরা মহান আল্লাহর পছন্দের কর্মগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে তাঁর সুদৃষ্টি আকর্ষণে সচেষ্ট হই। তাঁর ভালোবাসার কার্যাদি সম্পন্ন করে তাঁর আনুকূল্য লাভের প্রয়াস চালাই। আল্লাহ সবাইকে তওফিক দান করুন। সুত্র: সময়ের আলো

লেখক : শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ, চকবাজার, ঢাকা

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :