নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০ মে ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের বাওদিপাড়া-হাতনী-চাপরাইল পর্যন্ত বিএডিসির খননকৃত সরকারি খাল ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। ওই খালের ওপর রাস্তা বানিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প ৩য় পর্যায়ের আওতায় বিএডিসি ২০২৩ সালে লাখ লাখ টাকা খরচ করে খালটি পুনঃখনন করে। খননকৃত খালটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করায় সরকারের লাখ লাখ টাকার প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে। সেইসঙ্গে এবারের বর্ষা মৌসুমে বিশাল এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, খননকৃত খালের কোন স্থানে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে তার খোঁজ নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত কাজে সরকারি খাল ভরাটের কোনো নিয়ম নেই। এমনকি খাল ভরাট করে সরকারি কোনো প্রকল্পও দেওয়া যাবে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন ইউএনও।
সরেজমিন দেখা যায়, হাতনী জামির্ত্তা হুটের চকে চারটি ইটভাটার পূর্ব পাশের খালে মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গত প্রায় এক মাস ধরে রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক ও মাহিন্দ্র ট্রলিতে করে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। খালটি ভরাট করে রাস্তা করায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমেও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা। সেচকাজ ব্যাহত হবে চরমভাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাওদি পাড়া এলাকার মাটি ব্যবসায়ী আয়নাল ও খোকনের লোকজন খালের ওপর রাস্তা বানিয়ে ফসলি জমি কেটে পাশের চারটি ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছে। স্থানীয় কৃষকরা বাধা দিলেও লাভ হচ্ছে না। কোনোভাবেই খাল ভরাট ও মাটি বিক্রি বন্ধ করতে পারছেন না তারাপ।
Leave a Reply