অনলাইন ডেস্ক: দেশজুড়ে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। এই শীতে শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বাড়তি সতর্কতায় রাখতে হবে। সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, টনসিলাটাইসিস, ব্রংকিওলাইটিস, সাইনোসাইটিস, বাত, আর্থ্রাইটিস, চামড়ার শুষ্কতা-এসব রোগ থেকে সুরক্ষায় শীত এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিতেই মানুষের শরীরের তাপ উৎপাদন ক্ষমতা কমতে থাকে। এ ক্ষেত্রে রোগীর শরীর ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসে। শরীরে তাপ উৎপাদন কম হওয়ায় হাত-পা কুঁকড়ে যায়। এমনকি শরীর অবশ হয়ে আসতে থাকে। এ ছাড়া হাঁপানি, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ অন্যান্য রোগ তো আছেই। এসব রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই শীত এড়িয়ে চলতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে। একটু বয়স বেড়ে গেলে এ ব্যথা বেড়ে যায়। অনেকে এ সময় আর্থ্রারাইটিস ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় খুবই কষ্ট পান।
এ সময়ে শিশুদের সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। শিশুকে সুস্থ রাখতে শীতের কাপড় পরাতে হবে, মাথা ঢেকে রাখতে হবে, শিশুর মাথায় ঠান্ডা লাগানো যাবে না এবং বাড়ির বাইরে শিশুদের নিয়ে অহেতুক ঘোরাঘুরি করা যাবে না। ছয় মাসের কম বয়সি শিশুদের ঘন ঘন স্তন্যপান করানোর পাশাপাশি এর বেশি বয়সি শিশুদের বুকের দুধ ছাড়াও মৌসুমি সবজি, ফল খাওয়াতে হবে।
শরীর গরম রাখতে গরম পোশাক পরতে হবে, গরম পানি খেতে হবে। এমনকি গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। রুম গরম রাখতে রুম হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। এতে লিভারের সমস্যা ছাড়াও সঠিক ওষুধ ও সঠিক মাত্রায় না খাওয়ার কারণে ওষুধ রেজিস্ট্যান্ট হতে পারে। ফলে পরে আর ওষুধ কাজ নাও করতে পারে। জ্বর-সর্দি হলে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
লেখক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক
Leave a Reply