1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন

ফরজের ঘাটতি পূরণে নফল নামাজ

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১১৯ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: একজন মুসলমানকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্তে মোট ১৭ রাকাত ফরজ ও তিন রাকাত বিতির এবং ১২ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়তে হয়। এসব নামাজ ছাড়াও আরও অনেক নামাজ পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলোকে নফল নামাজ বলা হয়। যেমন-তাহাজ্জুদ নামাজ, ইশরাক নামাজ, চাশতের নামাজ, আওয়াবিনের নামাজ এবং সাধারণ নফল নামাজ। মোটকথা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত নামাজের অতিরিক্ত নামাজকে নফল নামাজ বলা হয়। নফল নামাজ আদায়ে অনেক ফজিলত। এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন, গুনাহমুক্তি, মর্যাদা বৃদ্ধি ও ফরজের ঘাটতি পূরণসহ নানা উপকার রয়েছে।

আল্লাহর নৈকট্য অর্জন : নফল নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভ হয়। হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-‘আমার বান্দা নফলের মাধ্যমে আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে, এক পর্যায়ে আমি তাকে মহব্বত করতে থাকি। যখন তাকে মহব্বত করতে থাকি, তখন তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শোনে; আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে; আমি তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে আঘাত করে; আমি তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে হাঁটে। যদি সে আমার কাছে কোনো প্রার্থনা করে আমি তার প্রার্থনা কবুল করি। যদি সে আমার আশ্রয় প্রার্থনা করে, অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।’ (বুখারি : ৬১৩৭)

গুনাহমুক্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধি : রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এক সাহাবি প্রশ্ন করেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ কী? উত্তরে তিনি বলেন, ‘তুমি আল্লাহর জন্য বেশি বেশি সেজদা করবে (বেশি বেশি নফল নামাজ পড়বে), কারণ তুমি যখনই আল্লাহর জন্য একটি সেজদা করো তখনই তার বিনিময়ে আল্লাহ তোমার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তোমার একটি পাপ মোচন করেন।’ (মুসলিম : ১/৩৫৩)

ফরজের ঘাটতি পূরণ : আমরা অনেক সময় ফরজ বিধানগুলো যথাযথ আদায় করতে পারি না। কিছু না কিছু ঘাটতি থেকেই যায়। তাই নফল নামাজ পড়া উচিত। কারণ কেয়ামতের দিন আমলনামা হিসাবের সময় ফরজ ইবাদতের ঘাটতিগুলো নফল দিয়ে পূরণ করা হবে। এ মর্মে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার ফরজ নামাজের হিসাব নেবেন। যদি ফরজ নামাজে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে তা হলে তিনি ফেরেশতাদের বলবেন, দেখো আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত আছে কি না? নফল ইবাদত থাকলে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দেবেন, তোমরা ফরজের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো নফল দ্বারা পূর্ণ করে দাও। তারপর আল্লাহ তায়ালা পূর্ণ অবস্থায় বান্দার আমলকে গ্রহণ করবেন।’ (আবু দাউদ : ৮৬৪)

তা ছাড়া নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যুক্তির দাবিও বটে। কেননা আমরা দুনিয়াতে দেখি, যে কর্মচারী মালিকের দেওয়া দায়িত্ব পালন করার পর অতিরিক্ত কাজ করে মালিককে সহযোগিতা করে, সে মালিকের প্রিয় পাত্র হয়ে যায়। তদ্রূপ যে বান্দা মালিকের পক্ষ থেকে দেওয়া ফরজ বিধানগুলো আদায়ের পর, মালিকের খুশির জন্য অতিরিক্ত আমলে ব্যস্ত থাকে সেও আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করে তাঁর ভালোবাসা ও নৈকট্য অর্জন করার তওফিক দান করুন।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :