অনলাইন ডেস্ক: হুল আলোচিত সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবারবন্দি প্রদান করেছেন।
পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে মাহমুদুল আলম বাবুকে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এসময় আদালত তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মাহমুদুল আলম বাবুকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ২২ জুন আরো দুই আসামি মনির হোসন ও রেজাউল আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
জামালপুর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি আরমান আলী জানান, নাদিম হত্যা মামলার ১২ আসামির মধ্যে ৬ জনকে তিন দিনের ও বাকী ৬ জনকে চার দিনের রিমান্ড শেষে এরই মধ্যে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার মামলা প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকেও পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিমকে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাদিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে ওই দিন দুপুরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ও তার ছেলে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগনেতা ফাহিম ফয়সার রিফাতসহ ৪৭ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্যতম আসামি বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ বাকী আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছে।
Leave a Reply