1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
কাঙ্খিত জুলাই সনদে সই করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদরা: যা আছে জুলাই সনদে নানা আয়োজনে মানিকগঞ্জে শিশু দিবস উদযাপিত  মানিকগঞ্জে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এফসি হান্টার ক্লাব কালবেলা দেশের মানুষের কথা বলে : অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিবালয়ে বিএনপি নেতার মিথ্যা প্রচারে জামায়াত প্রার্থীর সংবাদ সন্মেলন  শিবালয়ে ২১কেজি ইলিশ জব্দ তিন জেলের কা-রা-দন্ড শিবালয়ে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিএনপি নেতার সংবাদ সন্মেলেন  শিবালয়ে জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ঘিওরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

শকুন কমে যাওয়ার কারণে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু!

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৭৮৮ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: একসময় ভারতের সবখানে বিপুলসংখ্যক শকুন দেখা যেত। দুই দশকের বেশি আগে থেকে ভারতে বিপুলসংখ্যক শকুন মারা যেতে থাকে। এর কারণ ছিল অসুস্থ গরুর চিকিৎসায় এক ধরনের ওষুধের ব্যবহার। ওই ওষুধের প্রভাবেই মৃত গরু খেয়ে ৩ প্রজাতির শকুনের ৯০ ভাগের বেশি মারা গেছে। নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মৃত পশুর দেহাবশেষ খেয়ে বেঁচে থাকা এই পাখি কমে যাওয়ায় প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়া ও নানা সংক্রমণ বেড়ে যায়; যা পাঁচ বছরে প্রায় অর্ধমিলিয়ন (পাঁচ লাখ) মানুষের মৃত্যুতে ভূমিকা রাখে। এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। খবর বিবিসির।

১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি ভারতে শকুনের সংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি। তখন থেকেই আবার গবাদি পশুর চিকিৎসায় সস্তা নন-স্টেরয়েডাল ব্যথানাশক ‘ডাইক্লোফেনাক’ ব্যবহার শুরু হয়। এতে বিপুলসংখ্যক শকুন কমতে কমতে এসে দাঁড়ায় একরকম শূন্যের কোটায়। ওই ওষুধে চিকিৎসা করা পশুর মৃতদেহ খেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর শকুনগুলো মারা যেতে থাকে। এ ঘটনায় ২০০৬ সালে গবাদি পশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সরকার। এতে কিছু এলাকায় শকুন হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা কমে। তবে স্টেট অব ইন্ডিয়া’স বার্ডসের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দীর্ঘ মেয়াদে শকুনের অন্তত তিনটি প্রজাতির ৯১ থেকে ৯৮ শতাংশ এ ওষুধের পরোক্ষ বিষক্রিয়ার শিকার হয়।

আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণার সহরচয়িতা ও ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর হ্যারিস স্কুল অব পাবলিক পলিসির সহকারী অধ্যাপক ইয়েল ফ্রাঙ্ক বলেন, ‘শকুনকে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে ধরা হয়। কেননা পরিবেশ থেকে নানা ক্ষতিকর উপাদান ও মৃত পশুর ব্যাকটেরিয়াবাহী দেহাবশেষ অপসারণে এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শকুন না থাকলে ছড়িয়ে পড়তে পারে রোগবালাই।’

ইয়েল ফ্রাঙ্ক আরও বলেন, ‘মানবস্বাস্থ্য রক্ষায় শকুনের ভূমিকা বন্য প্রাণী রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে আনে। কেবল আকর্ষণীয় ও আদুরে প্রাণীই যে রক্ষা করা প্রয়োজন তা নয়; বরং সব বন্য প্রাণীই রক্ষা করতে হবে। আমাদের প্রতিবেশ ব্যবস্থায় সব প্রাণীরই ভূমিকা রয়েছে, যা আমাদের জীবনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।’সুত্র:সময়ের আলো

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :