নিজস্ব প্রতিবেদক: ভালবাসার মানুষের পাশে থেকে সেবা করতেই হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে আহত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা আনন্দ সাহাকে বিয়ে করলেন অমরিতা ।ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে মানিকগঞ্জে আফরোজা বেগম হাসপাতালের বেডেই অনুষ্ঠিত হলো এ ব্যতিক্রম বিয়ের অয়োজন।
সোনাতন ধর্মের লোকদের জন্য বিয়ের দিন-ক্ষণ ও লগ্ন খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।লগ্ন ধরে এদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাতে-পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতালের ভেতরেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন আন্দন-অমরিতা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের অস্থায়ীভাবে খালি রাখা একটি অংশে এই বিশেষ বিয়ের আয়োজন করা হয়।
দুর্ঘটনায় আহত বর আনন্দ সাহার হাত-পা ব্যান্ডেজে বাঁধা অবস্থায় থাকলেও নির্ধারিত লগ্ন মিস না করতে পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আয়োজন করেন এ বিয়ের অনুষ্ঠান।
আনন্দ সাহার পরিবারের সদস্যরা জানান, আনন্দ সাহার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
সোনাতন ধর্মালম্বী নিলিমেশ সাহা বলেন, আমাদের মধ্যে লগ্ন ধরে বিয়ে করা গুরুত্বপূর্ণে একটি বিষয়।আর এ লগ্ন সাধারণত বাংলা বর্ষপঞ্জিকায় দেয়া খাকে।ছেলে এবং মেয়ের উভয় পক্ষ মিলেই ঠাকুরের মাধ্যমে পঞ্জিকা দেখে বিয়ের দিন-ক্ষণ ও লগ্ন ঠিক করা হয়।বিয়ের লগ্নটা শুরু হয় সাধারণ সন্ধ্যার পর থেকে।অনেক সময় কোন কারণ বশত লগ্ন পার হয়ে গেলে বা ভেঙ্গে গেলে সেদিন আর বিয়ে হবে না।পরর্তিতে আবার দিন-ক্ষণ ঠিক করে লগ্ন ধরে বিয়ের আয়োজন করতে হবে।
আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অ্যান্ড ইউনিট হেড ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন,“রোগী মানিকগঞ্জ সদরের বাসিন্দা। বাইক দুর্ঘটনায় তার দুই হাত ও এক পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। আজ তার বিয়ের লগ্ন ছিলো। পরিবার আমাদের বিষয়টি জানালে আমরা গুরুত্ব সহকারে কনসালটেন্টদের সঙ্গে আলোচনা করি। রোগীর অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল মনে হওয়ায় ক্যাবিনে নয়, হাসপাতালের অব্যবহৃত অংশে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করার অনুমতি দেওয়া হয়। আমাদের কর্তৃপক্ষ সবসময় রোগীদের সেবায় আন্তরিক।”
Leave a Reply