1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন

কলার গুণাগুণ প্রতিদিন একটা করে কলা কেন খাবেন?

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১২০ বার পড়েছেন

অনলাইন লাইফস্টাইল ডেস্ক: কিংবা বাইরে ক্ষণিকের খিদে মেটাতে অনেকেই কলা খেয়ে থাকেন। অনেকের আবার সকালের নাস্তায় কলা না হলে চলেই না। উৎপাদন, স্বাদ ও সুগন্ধের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় কলাকে ফলের রানী বলা হয়। কলা সারা বছরের ফল। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরে; সবখানেই পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতের কলা। আর এই কলা খাওয়ার যে কত স্বাস্থ্য উপকারিতা, তা রীতিমত বিস্ময়কর।

এবার জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন একটা করে কলা কেন খাবেন-

মানবদেহের ক্ষয়পূরণ, পুষ্টিসাধন এবং সুস্থ-সবল ও নীরোগ রাখার জন্য যেসব পুষ্টি উপাদান দরকার তার প্রায় সবগুলোই কলাতে আছে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, খাবার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কলাতে আছে ৭.০ গ্রাম প্রোটিন, ২৫ গ্রাম শর্করা, ০.৮ গ্রাম চর্বি, ০.১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্ল্যাভিন) ও ২৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’। এছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কলাতে আছে ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯০ মিলিগ্রাম লৌহ, ৮০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন (ভিটামিন ‘এ’) এবং ১০৯ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি।

কলা উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কলায় প্রচুর উচ্চ পটাশিয়াম আছে এবং চর্বির পরিমাণ কম থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা উচ্চরক্তচাপ কমানোর জন্য ওষুধের পরিবর্তে কলাজাতীয় ফল, কম চর্বিযুক্ত খাবার এবং কাঁচা লবণ কম খাওয়ার পরামর্শ দেন।

এছাড়া কলা খেলে মানসিক চাপ কমে, মানসিক কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি হয়। কলায় সোডিয়ামের পরিমাণ কম এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায়। কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি মাথাব্যথার প্রাকৃতিক নিরাময় হিসেবে কাজ করে। তাই মাথাব্যথা করলে ঔষধ না খেয়ে কয়েকটা পছন্দের কলা খেয়ে নিন।

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখলে ৪০ শতাংশ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া পাকস্থলীর দেয়ালকে এসিডের হাত থেকে রক্ষা করতে কলার যথেষ্ট ভূমিকা আছে। গলার ঘায়ে, শুল্ক কাশিতে ও কিডনি রোগের ক্ষেত্রে পাকা কলা উপকারী।

পাকা কলা টাটকা ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া যায় বলে এর পুষ্টি উপাদান অবিকৃত অবস্থায় আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই নিয়মিত পাকা কলা খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হয় না। কলায় যে লৌহ জাতীয় পুষ্টি উপাদান থাকে, তা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে। লৌহের ঘাটতি পূরণে কলার ভূমিকা যথেষ্ট। তাই লৌহের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা ও অপুষ্টিতে আক্রান্ত মহিলাদের জন্য কলা হতে পারে দুঃসময়ের বন্ধু। ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘বি’-এর উৎকৃষ্ট উৎস কলা। এজন্য কলাকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার। কলাতে কোনো ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নেই। তাছাড়া এতে কোনো দ্রবণীয় চর্বি (স্যাচুরেটেড ফ্যাট) নেই।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :