অনলাইন ডেস্ক: ঘরে ফিরতে চায় না ৬৪ শতাংশ পথশিশু। আর ফিরে যাওয়ার মতো পরিবার নেই ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ পথশিশুর। আজ সোমবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এসব তথ্য উঠে আসে। তথ্য অনুযায়ী, ১২ শতাংশ পথশিশুই মাদকাশক্ত।
ঢাকার আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পথশিশু জরিপ-২০২২ এর ফলাফল প্রকাশ করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগেরর সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন প্রমুখ।
জরিপ অনুযায়ী, এই শিশুরা পারিবারিক ও সামাজিক বাধাসহ বিভিন্ন কারণে পথশিশু হতে বাধ্য হয়েছে। পরিবারে জায়গা নেই ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ শিশুর। পরিবার গ্রহণ করে না ২১ দশমিক ৩ শতাংশ শিশুকে। আর পরিবারই নেই ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ পথশিশুর। পরিবারে প্রতিকূল পরিবেশ ১২ দশমিক ৭ শতাংশ শিশুর।
এছাড়াও, সামঞ্জস্যপূর্ণ পাবিবারিক পরিবেশ নেই ১১ দশমিক ৯ শতাংশ পথশিশুর। নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ পথশিশু। পরিবারে কাজের চাপ রয়েছে ১১ শতাংশ পথশিশুর। আর ঘরে ফিরতে সামাজিক বাধা রয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ শিশুর। প্রায় চার ভাগের একভাগ পথশিশু ধূমপান করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান। ইউনিসেফ বাংলাদেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট এর উপস্থিতিতে জরিপের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যদেন বিবিএস-এর উপমহাপরিচালক কাজী নূরুল ইসলাম।
পরিকল্পনামন্ত্রী মন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, সব শিশুর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেড়ে ওঠা এবং নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা পথশিশুদের খাবার দিয়েছি, দোলনা দিয়েছি। কিন্তু তারা থাকতে চায় না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পথশিশুরা তাদের ইচ্ছেমতোত চলার স্বাধীনতা হারাতে চায় না। সে কারণে ঘরে ফিরতে চায় না অনেক শিশু।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রধানত ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ পথশিশু দারিদ্রতার কারণে বাড়ি ছেড়ে শহরে এসেছে। এছাড়া ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ বাবা-মা শহরে আসার কারণে এবং ১২ দশমিক ১ শতাংশ কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে শহরে এসেছে। পথশিশুদের প্রতি ৫ জনের ২ জনই একা একা শহরে এসেছে।
Leave a Reply