শাহজাহান বিশ্বাস: মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচার যমুনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশাল আকৃতির বাঘাইর মাছ। ৪০ কেজি ওজন এ বাঘাইর মাছটি বিক্রি হয়েছে ৪৬ হাজার টাকায়। ঢাকার এক মৎস্য ব্যাবসায়ী কিনে নিয়েছেন এ বাঘাইড় মাছটি।
শনিবার রাতে উপজেলার যমুনা নদীর এক অংশ থেকে সিরাজগঞ্জের কোরবান আলী নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে এই বাঘাইড় মাছটি।রবিবার সকালে শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাটে মামুনের মাছের আড়তে বাঘাইড় মাছটি তোলা হয়। মাছটি আড়তে তোলা মাত্রই স্থানীয় উৎসুক জনতা মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমাতে থাকে। এ সময় মাছটি কেনার জন্য অনেক ক্রেতাই দর কাষাকষি করতে থাকেন। এরপর ওপেন ডাকের মাধ্য নিতাই নামের ঢাকার এক মাছ ব্যবসায়ী ১১৫০টাকা কেজি দরে ৪৬ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নিয়ে যান।
আরিচা ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান,শনিবার সন্ধ্যায় মৎস্য শিকারী কোরবান আলী জাল নিয়ে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যান। শনিবার মধ্য রাতে তার জালে বাঘাইর মাছটি ধর পড়ে। এরপর মাছটি বিক্রির জন্য রোববার যমুনা নদীর তীরে আরিচা ঘাটের মাছের আড়তে নিয়ে আসেন কোরবান। পরে ১১৫০টাকা কেজি দরে বাঘাইর মাছটি ৪৬হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
আড়তদার এমদাদ জানান, মাছটি আমার পাশের আড়ৎদার মামুনের আড়তে উঠে। ৪০ কেজি ওজনের মাছটি ১১৫০ টাকা দরে ৪৬ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি হয়েছে। ঢাকার এক ব্যবসায়ী মাছটি কিনে নিয়েছে।
আড়ৎদার মামুন বলেন, এত বড় মাছ খুব কমই ওঠে। হঠাৎ করে এত বড় মাছ আমার খোলায় আসাতে অনেক ভাল লাগছে। কারণ এত বড় মাছ সাধারণ সচারাচর দেখা যায়না।
স্থানীয় রফিকুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, এত বড় বাঘাইর মাছ কমই দেখা যায়। এসব মাছতো হারিয়ে যাচ্ছে।
জেলে কোরবার বলেন, যমুনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে আমরা কয়েকজন জেলে নদীতে জাল ফেলি। পরে রাতের শেষ ভাগে বাঘাইর মাছটি জালে ধরা পড়ে। এত বড় বাঘাইড় মাছ এর আগে কখনো জালে ধরে পড়েনি বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মাছটির ক্রেতা নিতাই জানান, মামুনের খোলায় লোকের অনেক ভিড় দেখে এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি বিশাল আকৃতির বাঘাইর মাছ। মাছটি দেখে কিনতে ইচ্ছে হলো। এ সময় অনেকেই মাছটির দাম করছিলেন। বিক্রেতা অনেক টাকা দাম চাইলেও এক পর্যায়ে ৪৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিই।
স্থানীয় আমিনুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, এত বড় বাঘাইর মাছ এরআগে কখনো দেখেনি। যমুনা নদীতে কোরবান নামে এক জেলের জালে ধরা পড়ে। পরে আরিচা ঘাটের মাছের আড়তে তোলা হলে বাঘাইর মাছটি এক নজর দেখতে অসংখ্য লোকজন ভিড় করে ও মাছটি অনেক ক্রেতার দাম কষাকষির একপর্যায়ে ৪৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
শিবালয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাথী রানী নিয়োগী বলেন, আরিচা মাছের আড়তে বাঘাইর মাছ দেখেছেন। এখানে অনেক বাঘাইর মাছ উঠে। এগুলো বিক্রিতে কোন নিষেধ নেই। আর এগুলো বণ্যপ্রণী হিসেবে দেখভালের দায়িত্ব ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের।
Leave a Reply