1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ শুরু হচ্ছে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ সংবাদ সম্মেলন করবেন নিষেধাজ্ঞা শেষে শুরু হচ্ছে সাগরে ইলিশ ধরা শিবালয়ে শ্রমিক লীগের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত শিবালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শিবালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আ.লীগ নেতাকর্মীদের দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান প্রচণ্ড গরমে যা করলে সুস্থ থাকবেন গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার

মাকামে ইবরাহিম ও হাজরে আসওয়াদ

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩
  • ৪২ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: পবিত্র কাবাঘরের পূর্বদিকের তাওয়াফ ভূমি-সংলগ্ন কাচে ঘেরা মিনারসদৃশ ছোট ঘরটিতে রয়েছে জান্নাতি একখ- বর্গাকৃতির পাথর। এর ওপর দাঁড়িয়ে হজরত ইবরাহিম (আ.) কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। পাথরের ওপর তার পা রাখলেই সেটা নরম হয়ে যেত এবং পাথরের ভেতর চার আঙুল পরিমাণ দেবে যেত, যাতে নির্মাণকাজের সময় পা পিছলে না যায়। এমনকি এই পাথর ইবরাহিম (আ.) ইচ্ছানুযায়ী ওপরে-নিচে, ডানে-বামে নিয়ে গিয়ে নিজ প্রয়োজন অনুসারে কাজ করেছিলেন অবলীলায়।

কাবাঘর নির্মাণ শেষে তিনি পাথরটি এ জায়গায় স্থাপন করেন। পবিত্র কুরআনে এ পুণ্যময় পাথরের মহিমা বর্ণিত হয়েছে, ‘ওয়াত্তাখিযু মিম মাকামি ইবরাহিমা মুসল্লা।’ এই আয়াতে এটিকে ‘মাকামে ইবরাহিম’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং নামাজের স্থানরূপে গ্রহণ করার জন্য আদেশ করা হয়েছে। তাই পবিত্র কাবাগৃহের তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমকে সামনে নিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হয়।

এ থেকে বোঝা যায়, সাধারণ মূল্যহীন পাথরটি হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সংস্পর্শে এসে অনন্য মর্যাদার অধিকারী হয়েছে। চার হাজার বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ‘মাকামে ইবরাহিমে’ ইবরাহিম (আ.)-এর পদচিহ্ন অপরিবর্তিত রয়েছে। পাথরটির ওপরে প্রতিটি ছাপের দৈর্ঘ্য ২৭ সেমি এবং প্রস্থ ১৪ সেমি। পাথরের নিচের অংশে রুপাসহ প্রতিটি পাথরের দৈর্ঘ্য ২২ সেমি এবং প্রস্থ ১১ সেমি। পাথরটিতে ইবরাহিম (আ.)-এর পদচিহ্নের গভীরতা পাথরটির উচ্চতার অর্ধেক-৯ সেমি। দীর্ঘদিন ধরে লাখ লাখ নবী (সা.)-এর প্রেমিকের হাতের স্পর্শের পরও আঙুলের চিহ্নগুলো এখনও বিদ্যমান। ভালো করে লক্ষ করলে আঙুলের ছাপ ও পায়ের গোড়ালির চিহ্ন বোঝা যায়। আগে পাথরটি প্রয়োজনে স্থানান্তর করা যেত। জাহেলি যুগে লোকেরা বন্যার ভয়ে মাকামে ইবরাহিমকে কাবা শরিফের মঞ্চে লাগিয়ে রাখত। হজরত ওমর (রা.)-এর খিলাফতকালে এটি সরিয়ে বর্তমান জায়গায় বসানো হয়। একসময় পাথরটিকে একটি মিম্বরের ওপর তুলে রাখা হয়েছিল, যেন বন্যার পানি এর নাগাল না পায়। যুগে যুগে বহু শাসক মাকামে ইবরাহিম সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেন। ১৬০ হিজরিতে খলিফা মাহদি হজে এসে মাকামে ইবরাহিম পাথরটির ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত রুপা দিয়ে মজবুত করে মুড়িয়ে দেন।

পবিত্র কাবা চত্বরে আরও একটি পবিত্র পাথর রয়েছে। যাকে বলা হয় ‘হাজরে আসওয়াদ’ বা কৃষ্ণপাথর। পবিত্র কাবা নির্মাণ শেষে ইবরাহিম (আ.)-এর ছেলে ইসমাইল (আ.)-কে বললেন, একটি সুন্দর পাথর খুঁজে নিয়ে এসো। পাথরটা এখানে রাখব-যাতে ঘরটি প্রদক্ষিণের সময় তা মানুষের জন্য চিহ্নের কাজ দেয়। পিতার নির্দেশে ইসমাইল (আ.) পাথরের সন্ধানে বের হলেন। এমন সময় হজরত জিবরাঈল (আ.) জান্নাত থেকে শুভ্র বর্ণের একটি পাথর নিয়ে আসেন (তারিখে মক্কা, ইবনে কাসির)। এই পাথরের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ করে বলছি, সত্যিই আল্লাহ শেষ বিচারের দিন হাজরে আসওয়াদ পাথরটি পাঠাবেন। পাথরের দুটো চোখ হবে এবং দেখবে। একটি জিহ্বা হবে এবং কথা বলবে। যে লোক সঠিকভাবে পাথরে চুম্বন করবে ওই পাথর সাক্ষ্য প্রদান করবে’ (তিরমিজি : ৮৮০)।

পাথরটি পবিত্র কাবাগৃহের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে জমিন থেকে ১.১০ মিটার উচ্চতায় প্রায় চার ফুট উঁচু দেয়ালের কিছুটা ভেতরে স্থাপিত। এটি দৈর্ঘ্যে ২৫ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ১৭ সেন্টিমিটার। কালো বর্ণের বলে এর নাম রাখা হয়েছে হাজরে আসওয়াদ। জান্নাত থেকে যখন পাথরটি নিয়ে আসা হয়, তখন এটি দুধের মতো সাদা ছিল। মানুষের গুনাহের প্রভাবে আস্তে আস্তে কালো হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হাজরে আসওয়াদ নামের কালো পাথরটি জান্নাত থেকে এসেছে। এটি দুধের চেয়েও সাদা ছিল কিন্তু আদম সন্তানের পাপ এটিকে কালো করে দিয়েছে’ (তিরমিজি : ৮৭৭)। রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, ‘হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহিম বেহেশতের দুটো ইয়াকুত পাথর।’ (তিরমিজি : ৮৭৮)

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :