1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ শুরু হচ্ছে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ সংবাদ সম্মেলন করবেন নিষেধাজ্ঞা শেষে শুরু হচ্ছে সাগরে ইলিশ ধরা শিবালয়ে শ্রমিক লীগের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত শিবালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শিবালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আ.লীগ নেতাকর্মীদের দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান প্রচণ্ড গরমে যা করলে সুস্থ থাকবেন গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার

মসলার ঝাঁজে ঈদের বাজার গরম

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩
  • ১০৯ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: আর মাত্র দুদিন বাদেই মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আর এই কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে চাহিদার চরমে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা, হলুদ, মরিচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গসহ বাঙালির মাংস রান্নায় অপরিহার্য বিভিন্ন মসলা। আর ক্রেতা সাধারণের এই চাহিদাকে উপলক্ষ করে এই মুহূর্তে ঝাঁজ ছড়াচ্ছে মসলার বাজার। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে প্রতিটা মসলার দাম। কিছু কিছু মসলার দাম ছাড়িয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝাঁজ ছড়াচ্ছে আদা। প্রতি কেজি ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে মসলাটি। অবস্থা এমন যে, ঈদকে সামনে রেখে যেন শুরু হয়েছে আদার দাদাগিরি। একই অবস্থা কাঁচামরিচেরও। ঈদের দুদিন হাতে থাকতেই ২৬০-৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে মসলাজাতীয় এ কাঁচাপণ্যটি। আর তাতে চাহিদার সঙ্গে খরচের সমন্বয় করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে ক্রেতাদের। কুরবানি উপলক্ষে মসলার দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেলেও দাম বেশি হওয়ায় কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ তাদের।

এমন চিত্রই দেখা গেছে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হিলি স্থলবন্দর বাজারে। সোমবার হিলি বাজার ঘুরে ও ক্রেতা সাধারণের সঙ্গে কথা বলে সময়ের আলোর হিলি প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী জানান, সয়াবিন, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরাসহ অন্যান্য মসলার দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। পণ্যের লাগামহীন দামে দিশাহারা মানুষ। এলসি সংকটের পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটও। যার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ছে খুচরা বাজারে। ঈদকে উপলক্ষ বানিয়ে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো লাগামহীন দাম রাখলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় ভুগতে হচ্ছে ক্রেতা সাধারণকে।

দেশের সীমান্তবর্তী ও স্থলবন্দর এলাকা হিলি। এখানকার মসলা দামে কম ও মানে ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে মসলা কিনতে আসেন ব্যবসায়ীসহ অনেকে। তবে এবারের চিত্র একটু ভিন্ন। হিলি বাজারে পলাশবাড়ী থেকে মসলা কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, হিলিতে তুলনামূলক কমদামে মসলা পাওয়া যায়। তাই প্রতি ঈদে মসলা কিনতে হিলিতে আসি। কিন্তু এবারে মসলার দাম অনেকটা চড়া। গতবারে যে সাদা এলাচ ২২০০ টাকা দরে কিনেছি এখন সেই এলাচ ২৪০০ টাকা কেজি দরে কিনলাম। জিরা এক কেজির প্যাকেটের দাম ৫০০ টাকা ছিল। এখন ৮৮০-৯০০ টাকা। আদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮-৩০ টাকা।

এত বেশি দাম কেন- জিজ্ঞেস করা হলে ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ কম ও বিশ্ব বাজারে মসলার দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, সাধারণ সময়ে এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুই গাড়ি মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হলেও এখন ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন ৫-৬ গাড়ি করে আদা, জিরা, রসুন, পেঁয়াজসহ অন্যান্য মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হচ্ছে।

এদিকে বন্দরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম বাড়ছে সারা দেশেও। এমনই আরেকটি চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর পাশর্^বর্তী গাজীপুরের মসলার বাজারে। আমাদের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি গোলাম রসুল সরাসরি বাজার ঘুরে দিয়েছেন এমন কিছু তথ্য। সেখানকার কালীগঞ্জ বাজার, জামালপুর বাসাইর বাজার, দোলান বাজার, নরুন বাজার, নাগরী বাজার, সাওরাইদ বাজার, ফুলদী বাজার, আওড়াখালী বাজারসহ কালীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আদার দাম। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন বিক্রি হচ্ছে তিনগুণের বেশি দামে। গত বছরের এই সময়ে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে থাকা আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়। বাজারে শুকনা মরিচ ও জিরার দাম হয়েছে দ্বিগুণ। তেজপাতা, হলুদ, গোলমরিচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গের দাম বেড়েছে পাঁচগুণ পর্যন্ত। তা ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা। আর এ জন্য দুর্বল বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকেই দুষছেন এখানকার ক্রেতা সাধারণ। তারা বলছেন, দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থার সুযোগে আদার বেপারিরা এখন আঙুল ফুলে কলাগাছ। যে যার ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে।

সোমবার সরেজমিন ঈশ্বরদী পাইকারি ও খুচরা মসলা বাজার ঘুরে আমাদের প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান মিঠুন জানান, সেখানে পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়; যা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৩০ টাকা পর্যন্ত। চার দিন আগে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। আরও দুদিনের ব্যবধানে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকা কেজি দরে। শুকনো মরিচ (কারেন্ট) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি যা কয়েক দিন আগেও কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকায়। জিরার দাম কেজিপ্রতি বিক্রেতারা হাঁকছেন ৮৫০-১২০০ টাকা পর্যন্ত, যা খুচরা ব্যবসায়ীরা ১৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। এ ছাড়া ছোট এলাচ ২০০০ টাকা কেজি, বড় এলাচ ১২০০ টাকা কেজি, দারচিনি ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাইকারিতে ৬০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৮০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কুরবানির ঈদের তুলনায় এবার সব মসলার দাম বেড়েছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার উভয়ই যেন নাভিশ্বাস উঠেছে। সেখানকার ক্রেতা সাধারণ বলছে, ডলার, এলসি সংকট না হয় আছে, কিন্তু বাজার আসলে সিন্ডিকেটের দখলে। বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় ভুগতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অতিরিক্ত দামের কারণে মসলা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আরিফ বিশ্বাস নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের দাম ঠিকই বাড়ছে কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়ছে না। হিসাব করেও বাজেট মেলাতে পারি না এখন।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাবনা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি বলেন, ঈদের আগে সরকার ঘোষিত নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজার সিন্ডিকেটের কারণে অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি বাজারে আমাদের তদারকি করে অতিরিক্ত দাম নেওয়া বিক্রেতাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :