1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ শুরু হচ্ছে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ সংবাদ সম্মেলন করবেন নিষেধাজ্ঞা শেষে শুরু হচ্ছে সাগরে ইলিশ ধরা শিবালয়ে শ্রমিক লীগের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত শিবালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শিবালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আ.লীগ নেতাকর্মীদের দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান প্রচণ্ড গরমে যা করলে সুস্থ থাকবেন গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার

বিশ্ব মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩
  • ১২৯ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্ব মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন, যা সর্বকালে পৃথিবীর সব মানুষ ও জীবজগতের জন্য অফুরন্ত রহমত ও কল্যাণের একমাত্র আকর। দুনিয়া ও আখেরাতে মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও নাজাতের উসিলা এই পবিত্র গ্রন্থ। পৃথিবীর বুকে একমাত্র প্রাচীন ও অবিকৃত গ্রন্থ পবিত্র কুরআন। পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত টিকে থাকবে কোনোরূপ পরিবর্তন-পরিবর্ধন ছাড়াই। পৃথিবীর নানা দেশের হাজার হাজার হাফেজ কুরআন হৃদয়পটে ধারণ করছেন দেড় হাজার বছর। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি আর অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক।’ (সুরা হিজর : ৯)

পবিত্র কুরআন মুমিনের মর্যাদা বাড়ায়। একবার খলিফা ওমর (রা.) মক্কার গভর্নর নাফে ইবনে আবদুল্লাহ (রা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানতে চান যে, পাশের গ্রামে কাকে শাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? নাফে (রা.) জানান, ইবনে আফজা (রা.)-কে, যে কিনা গোলাম ছিলেন। কিন্তু তাকে তিন বৈশিষ্ট্যের জন্য শাসক বানানো হয়েছে-এক. সে কুরআনে অভিজ্ঞ। দুই. সে ফারায়েজে অভিজ্ঞ। তিন. সে বিচারে পারদর্শী (ইবনে মাজা : ২১৮)। যারা পবিত্র কুরআনের সঙ্গে জীবন কাটায় তাদের শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম যে নিজে কুরআন শেখে ও অন্যকে শেখায়’ (তিরমিজি : ২৯০৯)। এমনকি কুরআন তেলাওয়াতকারীকে আল্লাহর বিশেষ পরিবারভুক্ত বলে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর বিশেষ পরিবারভুক্ত কিছু মানুষ আছেন। সাহাবারা জানতে চান, ‘তারা কারা?’ জবানে নবীজি (সা.) বলেন, ‘কুরআন তেলাওয়াতকারীরা।’ (ইবনে মাজা : ২১৫)

কুরআন তেলাওয়াতকারীকে সম্মান করা মানে আল্লাহকে সম্মান করা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘সাদা দাড়িওয়ালা, কুরআন পাঠকারী ও ন্যায়পরায়ণ শাসককে সম্মান করা মানে আল্লাহকে সম্মান করা’ (আবু দাউদ : ৪৮৪৩)। যারা পবিত্র এ কুরআন মুখস্থ করবে, তাদের মর্যাদা পরকালে হবে অত্যুচ্চ। নবীজি (সা.) বলেন, ‘জান্নাতের মধ্যে কুরআনওয়ালাকে বলা হবে, তুমি পড়ো এবং ওপরে উঠতে থাকো। এভাবে কুরআন পাঠ করতে করতে যেখানে সে থামবে, সে স্তরে হবে তার অবস্থান। অর্থাৎ হাফেজে কুরআনগণ কুরআনের আয়াতের সংখ্যানুপাতে ৬২৩৬তম তলা পর্যন্ত উঠে যাবে’ (আবু দাউদ : ১৪৬৪)। রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘কুরআন পাঠকারীকে কুরআন বলবে, ‘তুমি কি আমাকে চেনো?’ সে বলবে, ‘না।’ তখন কুরআনের সুপারিশে তার ডান হাতে জান্নাতের বাদশাহি ও বাম হাতে জান্নাতে থাকার স্থায়ী সনদ দেওয়া হবে। তার মাথায় নূরের তাজ ও পিতামাতাকে জান্নাতের দুজোড়া পোশাক পরিয়ে দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহমাদ : ২২৯৫০)

যারা দুনিয়াতে কুরআন শিখবে সে মতে আমল করবে, কুরআন হিফজ করবে, কেয়ামতের দিন তাদের বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কুরআন কেয়ামত দিবসে হাজির হয়ে বলবে, হে আমার প্রভু, এই ব্যক্তিকে অলংকারে সাজিয়ে দিন। তারপর তাকে সম্মান ও মর্যাদার মুকুট পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু, তাকে আরও পোশাক দিন।

সুতরাং তাকে মর্যাদার পোশাক পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু, তার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করুন। কাজেই তিনি তার ওপর সন্তুষ্ট হবেন। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি একেক আয়াত পাঠ করতে থাকো এবং ওপরের দিকে উঠতে থাকো। এমনিভাবে প্রতি আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে মর্যাদা বাড়ানো হবে’ (তিরমিজি : ২৯১৫)। সুতরাং আসুন পবিত্র কুরআনের সংস্পর্শে এসে নিজেকে আলোকিত করি।

প্রভাষক, গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসা

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :