1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ শুরু হচ্ছে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ সংবাদ সম্মেলন করবেন নিষেধাজ্ঞা শেষে শুরু হচ্ছে সাগরে ইলিশ ধরা শিবালয়ে শ্রমিক লীগের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত শিবালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শিবালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আ.লীগ নেতাকর্মীদের দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান প্রচণ্ড গরমে যা করলে সুস্থ থাকবেন গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার

আমল না করেও সওয়াব অর্জনের সুযোগ

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩
  • ১০৯ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: আমরা সাধারণত জানি, ইবাদতের মাধ্যমে সওয়াব ও নেকি অর্জন করা যায়। কিন্তু ইবাদত বা আমল করা ছাড়াও সওয়াব অর্জনের এমন তিনটি পদ্ধতি আছে, যা অবলম্বন করলে বিনা আমলে প্রচুর পরিমাণ সওয়াব অর্জন করা যায়।

বিনা আমলে নেকি অর্জনের তিন উপায় হচ্ছে-১. যেকোনো ইবাদত করার আগে নিয়ত সহিহ করা ২. পরস্পরকে ভালো কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করা এবং ৩. ভালো কাজের দিকে মানুষকে আহ্বান করা। ওই তিন পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে বিনা আমলে নেকি অর্জন করা যায়। বিনা আমলে নেকি অর্জনের ওই তিন পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো।

আমলের আগে নিয়ত সহিহ করা

বান্দার প্রতিটি আমল আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ত সহিহ হওয়া একান্ত আবশ্যক। কেননা বান্দার সব আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। নিয়ত সহিহ করার পর কেউ যদি কোনো কারণবশত আমল করতে না পারে, তবু মহান আল্লাহ তার নিয়তের কারণে তাকে আমল করার পূর্ণ সওয়াব দান করেন। পক্ষান্তরে আমল করার ক্ষেত্রে কেউ যদি নিয়ত সহিহ না করে ওই আমলটি শতবার আমল করে, তবু তার আমল কবুল করা হয় না। অর্থাৎ নিয়ত সঠিক থাকলে কোনো কারণবশত আমল করতে না পারলেও নিয়তের কারণে আমলের পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যায়। আর নিয়ত ঠিক না থাকলে শতবার আমল করেও বিন্দু পরিমাণ সওয়াবের আশা করা যায় না।

এ জন্য রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সব কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল’ (বুখারি : ১)। নিয়ত সঠিক থাকলে কোনো কারণবশত আমল করতে না পারলেও তার পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ অথবা ওমরাহ কিংবা জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে। অতঃপর সে ওই পথেই ইন্তেকাল করেছে। আল্লাহ তায়ালা তার নিয়তের কারণে তার জন্য গাজী, হাজি অথবা ওমরাহ পালনকারীর সওয়াব লিখে দেবেন।’ (মিশকাত : ২৪২৪)

ভালো কাজে সহযোগিতা করা

আমল না করে নেকি অর্জনের দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে‌ ভালো কাজে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা। কেননা ভালো কাজে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করলে আমলকারীর মতো পূর্ণ সওয়াবের ভাগীদার হওয়া যায়। তাই কেউ যদি আমল না করে নেকি অর্জন করতে চায়, সে যেন সৎকাজে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করে। আর সৎকাজে সাহায্য-সহযোগিতা করা একটি মহৎ গুণ। তাই সৎকাজে সাহায্য-সহযোগিতা করা যেমন সওয়াবের কাজ, তেমনি খারাপ বা অন্যায় কাজে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করাও গুনাহের কাজ। সুতরাং সৎকাজে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে এবং অসৎ অন্যায়মূলক কাজে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকতে মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে বলেছেন, ‘তোমরা সৎকাজ এবং তাকওয়া অবলম্বনের ক্ষেত্রে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করো এবং পাপকাজ, অন্যায়মূলক কাজে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে না’ (সুরা মায়েদা : ২)। সৎকাজে সাহায্য-সহযোগিতা করার কারণে কেয়ামতের দিনে এমন অনেক মানুষের আমলনামায় দেখা যাবে কুরআন তেলাওয়াতের সওয়াব, অথচ সে দুনিয়াতে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারত না। আবার আরও অনেক মানুষের আমলনামায় দেখা যাবে যুদ্ধের ময়দানে শহিদ হওয়ার সওয়াব অথচ দুনিয়াতে সে কখনো কোনো যুদ্ধেই অংশগ্রহণ করেনি। অর্থাৎ দুনিয়াতে সৎকাজে সাহায্য-সহযোগিতা করার কারণে কেয়ামতের দিনে অনেক মানুষ বিনা আমলে অনেক আমলের নেকি অর্জন করবে। পক্ষান্তরে দুনিয়াতে অসৎ ও অন্যায়মূলক কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করার কারণে কেয়ামতের দিন অনেক মানুষ বিভিন্ন প্রকারের গুনাহের ভাগীদার হবে।

মানুষকে সৎকাজে আহ্বান করা

বিনা আমলে নেকি অর্জনের তৃতীয় উপায় হচ্ছে মানুষকে ভালো কাজ তথা সৎকাজের দিকে আহ্বান করা। কেননা আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দিয়ে কেউ যদি কোনো ভালো কাজ করে, তা হলে সৎকাজ সম্পাদনকারী সৎকাজ করে যেই সওয়াব পাবে, আহ্বানকারী ব্যক্তি তাকে সৎকাজে আহ্বান করার কারণে বিনা আমলে আমলকারীর মতো পূর্ণ সওয়াব পাবে। এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের পথ দেখায় সে ওই ভালো কাজ করার মতো সওয়াব পায়।’ (বুলুগুল মারাম : ১৪৬৬)।

বিনা আমলের নেকি অর্জনের উপরোক্ত তিন পদ্ধতি ছাড়াও আরও এমন তিনটি আমল আছে, যে ব্যক্তি ওই তিনটি আমল যথাযথভাবে পালন করবে, সে দুনিয়াতে বেঁচে থাকার সময় থেকে শুরু করে কেয়ামত পর্যন্ত আমলকারীর মতো পূর্ণ সওয়াব পেতে থাকবে। ওই তিন আমল সম্পর্কে হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো আদম সন্তান মৃত্যুবরণ করে তখন তার সব কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি কর্মের সওয়াব সে অব্যাহতভাবে পেতে থাকে-১. সদকায়ে জারিয়া (প্রবহমান দান) ২. উপকারী ইলম ৩. নেককার সন্তান যে তার জন্য দোয়া করতে থাকে’ (মুসলিম : ১২৫৫)। মহান আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :