নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের কর্ণেল মালেক মেডিক্যাল কলেজে গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ প্রতিমা রানী বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে নিকাব খুলতে বাধ্য করাসহ ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবী, বোরকা, হিজাব নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে কথা বলায় কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরের দিকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণেল মালেক মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মেডিকেলের গাইনী এন্ড অবস্ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ প্রতিমা রানী বিশ্বাস ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দাড়ি, টুপি-পাঞ্জাবী, বোরকা, হিজাব নিয়ে কথা বলে আসছেন। এমনকি একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সময় নিকাব খুলতে বাধ্য করেন।
সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ গাইনী ওয়ার্ডে ক্লাস নেয়ার সময় ওই শিক্ষক কলেজের হাসপাতালের কারসিনোমা সারভিক্সের পেশেন্ট যে মধ্যবয়স্ক কিন্তু তার স্বামী অপেক্ষাকৃত কম বয়স্ক। তার কথা উক্তি দিয়ে তিনি বলেন, ঐ নবি মোহাম্মদ এর মতো আর কি, মোহাম্মদ বিয়ে করেছিল না বিবি মরিয়মকে?…..ও না. মরিয়ম না, খাদিজা। কারসিনোমা সারভিক্সের পেশেন্টের কাহিনির সাথে রাসূল (সাঃ) কে মেলানো উদ্দেশ্যমূলক সেটা পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে। তাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের শিক্ষিকা হিসেবে ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীর ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সম্মানে আঘাত হানে। এমন কার্যকলাপ ও উক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।
এঘটনায় কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং ইন্টার্ণ চিকিৎসকবৃন্দ কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ধর্ম অবমাননার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ১৪ মার্চ মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন ও আজ শনিবার লিখিত অভিযোগ দেন।
কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন বলেন, ওই শিক্ষক ২০১৯ সাল থেকে মেডিকেল কলেজে আছেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ধর্মীয় অবমাননার । ক্লাশ নেওয়ার সময় বেশী বয়সের নারীর সাথে অল্প বয়সের ছেলে বিয়ে হলে কি সমস্যা হয় এটা বুঝাতে গিয়ে ওই শিক্ষক নবীকে নিয়ে উদাহরন দেন। ‘আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি অবগত হয়ে ওই শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার পরও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওই শিক্ষকে ক্লাশ থেকে সাময়িক স্থগিত রাখার। এছাড়াও এই বিষয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাস বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। তিনি গাইনি ক্লাশে বয়স্ক নারীর বিয়ে হলে কি সমস্যা হয় সেই বিষয়ে একটি উদাহরন দিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিষয়টি না বুঝেই তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনেছেন।
Leave a Reply