নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ফসলী জমিতে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা আটকিয়ে টয়লেট নিমার্ণ করায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদেরকে। এতে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে তাদের মাঝে। এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদনও করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা ষাইটঘর তেওতা গ্রামের মোঃ আঃ রাজ্জাক সেখ, পিতা-সেরন সেখ, ২। মোঃ সুজন সেখ, পিতা- মোঃ হোসেন সেখ ৩। মোঃ পান্নু সেখ (পানজু) ৪। মোঃ কালাম সেখ (কালো), ৫। মোঃ ছিদ্দিক সেখ, ৬। মোঃ ছালাম সেখ, ৭। মোঃ সুমন সেখ ৮। মোঃ ছোরহাব সেখ সর্বোপিতা- মৃত দারোগালী সেখ। এরা (যাইটঘর দক্ষিণপাড়া মাওলানা আলমগীর সাহেবের বাড়ী সংলগ্ন) কৃষকদের চলাচলের রাস্তায় টয়লেট স্থাপন করে মাটি ফেলা ও বেড়া দেয়ায় কৃষকদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে জমিতে যাতায়াতে কৃষকদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উল্লেখিত রাঙা দিয়া প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় যাবৎ কৃষকগণ চলাচল করিয়া আসিতেছে। উপরে বিষয়ে উল্লেখিত দুটি মৌজার প্রায় ৫০০ (পাঁচশত বিঘা) জমিতে যাতায়াতের জন্য কৃষকদের একমাত্র রাস্তা এটি, যেখান দিয়া আমরা দির্ঘদিন যাবৎ জমিতে উৎপাদিত ফসল বহন করিয়া নিয়া আসিতেছি এবং জমিতে চাষাবাদের জন্য পাওয়ার টিলার নিয়ে থাকি। বিবাদীগণ অসামাজিক একদলভূক্ত লঠিয়াল প্রকৃতির লোক হইতেছে। ১ ও ২ নং বিবাদী আলোকদিয়ার চর হইতে আসিয়া যাইটঘর তেওতা (দক্ষিণপাড়া) নিবাসি ভাতৃদ্বয় মোঃ জামাল ও মোঃ ইউসুফ উভয় পিতা- মৃত হানিফ মাতবর এর নিকট হইতে কিছু জমি ক্রয় করিয়া বসতবাড়ী স্থাপন করিয়া আন্তে আস্তে উক্ত কৃষকদের যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করার পায়তারা করিয়াছে এবং তাহারা কৃষকের যাতায়াতের পথে দুটি টয়লেট নির্মাণ করিয়াছে। কিছুদিন পূর্বে টয়লেট নির্মানের সময় এলাকার লোকজনসহ ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ দেলোয়ার মোল্লা গিয়া উক্ত টয়লেট নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে অনুরোধ করিলেও তাহারা কোন কর্ণপাত করেননি বরং কৃষকের চলাচলের রাস্তাটি চিরতরে বন্ধ করিতে কৃষকদের চলাচলের রাস্তায় মাটি ফেলিতে থাকে। গত ০৮/১০/২০২৪ তারিখে ১ ও ৩ নং বিবাদী রাস্তাটিতে মাটি ফেলিয়া ও বেড়া দিয়া রাস্তাটি বন্ধ করিয়া দেয়। রাস্তা বন্ধ করার খবর পাইয়া কৃষকগণ ও ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোঃ দেলোয়ার মোল্লা উক্ত রাস্তাটি সচল রাখার বিষয়য়ে আলোচনার মাধমে সমাধানের জন্য সকল বিবাদীগণ ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন ও কৃষকদেরকে নিয়া ০৯/১০/২০২৪ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকা হইতে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত আপ্রান চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হওয়ায় আমরা নিরুপায় হইয়া অত্র গ্রাম্য আদালতে উক্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য আবেদন করিতে বাধ্য হইলাম। এখানে উল্লেখ্য যে ৩ হইতে ৭ নং বিবাদী যে বাড়ীতে বসবাস করিতেছে এবং চলাচলের যে রাস্তাটি বন্ধ করিয়াছে উল্লেখিত জমিটি সরকারী জমি হইতেছ। কৃষকগণ প্রায় শতবছর যাবৎ উক্ত রাঙা দিয়া চলাচল করিয়া আসিতেছে। কৃষকদের চলাচলের রাস্তাটি সচল থাকার বিষয়ে দেশের ও জনগণের বৃহৎ স্বার্থ বিদ্যামান রয়েছে।
এব্যাপারে সুজন বলেন, আমি আমার জায়গায় টয়লেট দিয়েছি।এখানে রাস্তার কোন জায়গা পেচেনি। এরপর গ্রামে বসে মাপার সিন্ধান্ত হয়েছিল। কিন্ত মাপা হয়নি। মাপে রাস্তার হলে আমি ছেড়ে দিব।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, এব্যাপারে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করার জন্য সহকারি কমিশনার ভুমিকে দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply