অনলাইন ডেস্ক:বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দুর্নীতি রোধসহ ১০ দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি ২৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর করবে বিএনপি।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি সংঘাত চায় না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট নিরসন এবং সমস্যার সমাধান চায়। তাই, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২৪ তারিখে তাদের কাউন্সিলের কারণে আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পরিবর্তন প্রত্যাশা করে আমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেজন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার দেখাতে চাই। সে কারণেই বিএনপির ২৪ ডিসেম্বরের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করেছি।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হবে ২৪ তারিখে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেদিন আমরা ঢাকায় গণমিছিল করব না। তবে, ঢাকা বাদে সারা দেশে গণমিছিলের যে কর্মসূচি সেটা জেলা-মহানগরে অব্যাহত থাকবে। ঢাকায় ২৪ তারিখের পরিবর্তে ৩০ তারিখে গণমিছিল করব।’
৩০ তারিখ গণমিছিলের তারিখ বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের যে আন্দোলন, সেই লড়াইয়ে জনগণকে ৩০ ডিসেম্বর স্মরণ করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালের এই তারিখে দিনের ভোট রাতে করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সেজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে আমাদের ১০ দফার দাবির আলোকে যে লড়াই, সেই লড়াই এগিয়ে নেব।’
অন্য কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি বিঘ্নিত হোক, এমন কিছু বিএনপি কখনও করার চেষ্টা করে না বলে দাবি করেন দলটির সিনিয়র এ নেতা। তিনি বলেন, ‘যদিও আমাদের কর্মসূচি বিঘ্নিত করার জন্য আওয়ামী লীগ গত ১০ তারিখে ঢাকায় শহরের প্রত্যেকটা পাড়া-মহল্লায় মহড়া দিয়েছে। শহরের প্রত্যেকটা প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়ে আমাদের লোকজনকে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মোবাইল ফোন চেক করা হয়েছে। তারপরও আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
Leave a Reply