অনলাইন আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত প্রায় ১১ লাখ আটকে পড়া ফিলিস্তিনিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে এ অঞ্চলে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এমন নির্দেশের জেরে জাতিসংঘ বলছে, গণস্থানান্তর ‘অসম্ভব’, এর ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সতর্কবাণীকে ‘ভুয়া প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছে এবং বাসিন্দাদের আদেশ উপেক্ষা করতে বলেছে হামাস।
গাজার উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, যারা জীবন বাঁচাতে চান, দয়া করে দক্ষিণে যান। আমরা হামাসের অবকাঠামো, হামাস সদর দফতর, হামাসের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করতে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে ছিটমহলের দক্ষিণাঞ্চলে স্থানান্তরের জন্য ইসরাইলের আহ্বান ‘অবাস্তব’।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠকের পর বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বোরেল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই আসন্ন সামরিক অভিযান সম্পর্কে সতর্ক করা উচিত, তবে এটি পুরোপুরি অবাস্তব যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক মিলিয়ন লোক সরে যেতে পারে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণের হুমকি সত্ত্বেও ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দক্ষিণে সরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, আমরা যাব না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের চিকিৎসকরা তাদের মানবিক দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা মানুষকে একা মৃত্যুর মুখোমুখি হতে দেব না।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ১১ লাখ মানুষকে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলে তা কারো ওপর নির্বিচার হামলাকে ন্যায়সঙ্গত করবে না।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের কর্তব্য হবে তাদের লক্ষ্য বস্তু বা নির্বিচারে গুলি না চালানো।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় ইসরাইলি বোমা বর্ষণে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু ও নারী। অন্যদিকে ইসরাইলে ১৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সুত্র: সময়ের আলো
Leave a Reply