1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্দীপন এনজিওর কর্মী নিহত  প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন এমপি মমতাজ হরিরামপুরে কৃষক লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন শিবালয়ে অটোরিকশা চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক,প্রাইভেটকারসহ অটোরিকশা উদ্ধার দেশের উন্নয়ন শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে:মমতাজ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে হরিরামপুরে গাছের চারা রোপন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ক্ষেতমজুর সমিতির সভা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আব্দুল লতিফ প্রধান শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হরিরামপুরে মৃত গ্রাহকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র আর মির্জা ফখরুল ভয় দেখায়

সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলের আট জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২
  • ১০৪ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে উপকূলের ১৬ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। উপকূলের আট জেলার বেশিরভাগ অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ভোলাতে একেবারেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বিদ্যুৎ বিতরণ করে। ঝড়ের পর দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তিনটি বিতরণ প্রতিষ্ঠানই আলাদা টিম গঠন করে কাজ করছে। বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কার্যালয় থেকে পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে লাইনের ওপর গাছ পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে—এমন শঙ্কায় গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় আক্রান্ত এলাকা থেকে খবর নিচ্ছি। এতে দেখা গেছে আমাদের সাতটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব এলাকায় সমিতির প্রধান কার্যালয়ের বাইরে বিদ্যুৎ নেই। এগুলো হচ্ছে—ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল-১, খুলনা, পিরোজপুর এবং বাগেরহাট। এরমধ্যে ভোলা পিবিএসের প্রধান কার্যালয়েও বিদ্যুৎ নেই। এসব পিবিএস-এ আমাদের মোট গ্রাহক রয়েছেন ১৬ লাখ ১২ হাজার। যারা প্রায় সকলে বিদ্যুৎ সরবরাহের বাইরে রয়েছেন। এ ছাড়া কক্সবাজার পিবিএস-এ বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা পিবিএসগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছি। একই সঙ্গে কোথাও গাছ পড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হলে সেগুলো যাতে দ্রুত ঠিক করা যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা তাদের বলেছি মোবাইলে বেশি কথা বলে চার্জ খরচ না করতে, অন্তত আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি এটি নিশ্চিত করতে এই নির্দেশনা।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে ওজোপাডিকো। মূলত জেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় এখনও একেবারে তাদের সরবরাহ বন্ধ করতে হয়নি। তবে বিদ্যুৎ বিতরণ বিঘ্নিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের সরবরাহ একেবারে বন্ধ করতে হয়নি। তবে যেসব গ্রামীণ এলাকা রয়েছে গাছপালা বেশি সেখানে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে ঠিক কত গ্রাহক এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না সেটি বলা কঠিন। আমরা সে হিসাব করিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহর উন্নতি করতে পারে এমন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ করে পিডিবি। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রামে আবহাওয়া খুব একটা খারাপ না। শহরে আকাশ মেঘলা থাকলেও এখনও বৃষ্টি হচ্ছে না। অন্যদিকে কক্সবাজারে সমুদ্র উত্তাল থাকলেও পরিস্থিতি বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার মতো হয়নি। ফলে এই এলাকায় এখনও অন্যদিনের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :