অনলাইন ডেস্ক: সিএনজিচালিত অটোরিকশার সামনে দুই পাশে ‘ফ্ল্যাট লুকিং গ্লাস’ বসানোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে (বিআরটিএ) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত এক রিটে সম্পূরক আবেদনে বিশেষজ্ঞ মতামত নেওয়ার পর মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। আর বিআরটিএর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। আদালত থেকে বের হওয়ার পর তিনি জানান, আদেশের অনুলিপি পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে বিআরটিএকে টিভি এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলতে হবে, সিএনজির প্রত্যেক মালিক যেন এক মাসের মধ্যে অটোরিকশার বাইরে দুই পাশে লুকিং গ্লাস স্থাপন করে।
এ ছাড়া পেছনেও গ্লাস বসাতে বলেছেন আদালত। তবে সেটা বাধ্যতামূলক না, ঐচ্ছিক। আর সিএনজির বাইরে সামনের দুই পাশে যে লুকিং গ্লাস বসাতে বলা হয়েছে, তা অবশ্যই ‘ফ্ল্যাট লুকিং গ্লাস’ (সমতল আয়না) হতে হবে বলে জানান এই আইনজীবী। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন আদালত।
উল্লেখ্য গতিবিধি, চলাচল নিরাপদ রাখতে গাড়ির পেছনের (ব্লাইন্ড জোন এরিয়া) গাড়ির অবস্থান দেখার জন্য গাড়িতে ‘সাইড ভিউ মিরর’ বা ‘লুকিং গ্লাস’ থাকা বাধ্যতামূলক। মোটরযান বিধি, ১৯৪০-এর ১১৭ বিধি ও মোটরযান আইন, ২০১৮-এর ২(২৬) ধারা অনুযায়ী চালকের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশার বাইরের দুই দিকে সাইড ভিউ মিরর বা লুকিং গ্লাস স্থাপনের বিধান রয়েছে।
২০১৮ সালের ২৬ জুলাই যানবাহনের ফিটনেস নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রিটের প্রাথমিক শুনানির নিয়ে আদালত গণপরিবহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করা হয়। রিটটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সম্পূরক আবেদনে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট ফের আদেশ দেন।
আদেশে মোটরযান বিধি, ১৯৪০-এর ১১৭ বিধি অনুযায়ী অটোরিকশার বাইরে সাইড ভিউ মিরর বা লুকিং গ্লাস স্থাপনের বিষয়টি তদারকি করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন আদালত। সে সঙ্গে সাইড ভিউ মিরর অটোরিকশার আয়না ভেতরে না বাইরে থাকবে সে বিষয়ে বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগ প্রধানকে মতামত দিতে বলেন আদালত।
এ বিশেষজ্ঞ মত জানাতেই বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম ও অধ্যাপক সুমন সাহার সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করেন বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ আশিকুর রহমান। এ টিমের প্রতিবেদন ১৭ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
Leave a Reply