সাটুরিয়া প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পাউডার, পানি ও কেমিক্যাল মিশিয়ে দুধ তৈরির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এক মাসের কারাদন্ড অসাধু ব্যবসায়ী হচ্ছেন হরগজ ইউনিয়নের বালুচড় এলাকার মৃত নোমাজ আলী পুত্র মো. আতাউর রহমান।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হরগজ বাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, পাউডার, পানি ও কেমিক্যাল দিয়ে বাড়িতেই বানানো হচ্ছে গরুর দুধ। গ্রামের গরুর খাঁটি দুধের চাহিদা থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিনিয়তই তৈরি করে যাচ্ছেন ভেজাল দুধ। রাতের অন্ধকারে ঘরে বসেই ক্যামিকেল দিয়ে বানানো শত শত লিটার গরুর দুধ তৈরি করে এবং এই সকল নকল দুধ অর্ধ পূর্ণ ড্রামে করে হরগজ বাজারে নিয়ে আসছে এবং সেই ভেজাল দুধের সাথে সমপরিমাণ খাঁটি দুধের মিশ্রণ ঘটিয়ে ঢাকায় সরবরাহ করছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ভোরে সকাল ছয়টা থেকে যৌথভাবে উপজেলা প্রশাসন সাটুরিয়া ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান পরিচালনা করি। এসময় নিজেদের প্রস্তুতকৃত ১৫০ লিটারের অধিক নকল দুধ সহ ব্যবসায়ী আতাউর রহমান নামক একজন ব্যবসায়ীকে সনাক্ত করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকার উক্তি ও উপস্থিত আলামতে নকল দুধের প্রমাণ পাওয়ায় সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাটুরিয়া শারমিন আরা আতাউর রহমান কে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে জব্দকৃত ১৫০ লিটার নকল দুধ তাৎক্ষণিকভাবে ধ্বংস করা হয় এবং ব্যবসায়ীকে থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল নিষিদ্ধ ও অবৈধ প্রসাধনী বিক্রয় ও সংরক্ষণ করার দায়ে মারুফ কাজল কসমেটিক্স নামক প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করেন।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাটুরিয়া শারমিন আরা, অভিযোগ পেয়ে সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড দিয়েছি। আমরা এমন অভিযান নিয়মিত করব। তবে এ ব্যপারে আমরা একা কাজ করলে হবে না। সমাজের সব শ্রেণীর মানুষকে সচেতন হতে হবে।
অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নিলুফার ইয়াসমিন, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যবৃন্দ।
Leave a Reply