1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠে যে কল্যাণ

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৯৯ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: সুরা ইয়াসিন পবিত্র কুরআনের অত্যন্ত মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ একটি সুরা। মহান আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টির এক হাজার বছর পূর্বে সুরা ইয়াসিন ও সুরা ত্বহা তেলাওয়াত করেছেন। সুরা ইয়াসিন শুধু কুরআনে করিমের মাঝেই নয়, বরং তাওরাত কিতাবেও এ সুরাটি ছিল। তখন এই সুরার নাম ছিল ‘মুনয়িমাহ’ বা কল্যাণ। এই সুরা পাঠকারী নিজের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ বয়ে আনে। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক বস্তুরই একটা হৃদয় থাকে আর কুরআনের হৃদয় হলো সুরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন একবার পড়বে, মহান আল্লাহ তাকে ১০ বার পুরো কুরআন পড়ার সওয়াব দান করবেন’ (তিরমিজি)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘সুরা ইয়াসিন কুরআনের রুহ বা হৃৎপি-। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের কল্যাণ লাভের জন্য সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে তার জন্য রয়েছে মাগফিরাত বা ক্ষমা। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার সারা দিনের সব প্রয়োজন পূর্ণ করে দেবেন এবং সব বিপদাপদ থেকে তাকে রক্ষা করবেন। হাদিসে আরও বলা হয়েছে, রাতে সুরা ইয়াসিন পাঠ করলে নিষ্পাপ অবস্থায় ঘুম থেকে ওঠা যায় এবং পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’ তাফসিরে রুহুল বয়ানে একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, সুরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার সব মাকসুদ হাসিল হবে। যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন বেশি বেশি পড়ে থাকে, কেয়ামতের দিন এই সুরাই তার জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে।’ হজরত আবুজর (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির কাছে সুরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যুযন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়’ (মাজহারি)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন অভাব-অনটনের সময় পাঠ করে, তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়’ (মাজহারি)। ইয়াহইয়া ইবনে কাসির বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-শান্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে’ (মাজহারি)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে ইয়াসার (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তায়ালা তার বিগত জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন’ (বায়হাকি আবু দাউদ)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রাতে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তার ওই রাতের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন’ (দারেমি)।

হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সুরা ইয়াসিনের বিশেষ কতগুলো নেয়ামত হলো এই সুরা পাঠ করলে ক্ষুধা দূর হয়, পিপাসা দূর হয়, বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির ভয় ও বিপদ দূর হয় ইত্যাদি।’ এ ছাড়াও সুরা ইয়াসিন পাঠ করার অসংখ্য ফজিলত রয়েছে, যা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বেশি বেশি সুরা ইয়াসিন পাঠ করার তওফিক দান করুন।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :