নিজস্ব প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শুক্রবার ছোটবোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যক্তিগত সফরে টুঙ্গিপাড়ায় যান তিনি। এদিন নিজ বাসভবন থেকে গ্রামের পথ ধরে পায়ে হেঁটেই এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। যাওয়ার পথে এক সোনালু গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ছবি তোলেন। স্মৃতিময় নিজ গ্রামে বৈশাখের তপ্ত দুপুরে যেন শৈশবে ফিরে যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা।
শুক্রবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী তার টুঙ্গিপাড়ার বাসভবন থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে অবতারণা ঘটে এই দৃশ্যের।
প্রধানমন্ত্রীর চিত্রগ্রাহক ইয়াসিন কবির জয় জানিয়েছেন, সোনালু ও কৃষ্ণচূড়া গাছের ছায়া সুনিবিড় পথ পায়ে হেঁটে পার হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মধুমতি নদীর সঙ্গে যুক্ত খালের পাশে এসে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়েন। কাছে ডেকে নেন ছোট বোন শেখ রেহানাকে। পিতৃভূমিতে সোনালু গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছোট বোনকে নিয়ে ছবি তোলেন তিনি। পরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ‘দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতি’র সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় তার দলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্ষাকালে দলের প্রত্যেক সদস্যকে অন্তত তিনটি করে গাছের চারা লাগানোর আহ্বান জানান।
এর আগে সকালে ব্যক্তিগত সফরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু দিয়ে সড়কপথে তার পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। সেখানে পৌঁছানোর পরপরই শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply