শিবালয় প্রতিনিধি:শিবালয় উপজেলায় ৫বছেরের শিশুকণ্যার ধর্ষণচেস্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক বাবার নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সে কারনে শিবালয় থানার ওসি মোঃ শাহীনকে মানিকগঞ্জ জেলা থেকে এবং এএসআই আরিফ হোসেনকে জেলা পুলিশে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (২২ আগস্ট) রতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ বাহীনির কোন সদস্য অপরাধ করলে তার দায় পুলিশ বাহীনির নয়। পুলিশের যে সদস্য অপরাধ করেছেন তার দায় ওই সদস্যকেই নিতে হবে। শিবালয় থানায় গত শনিবার সন্ধ্যায় ৫বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেস্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক পিতা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। থানার ভিতরে এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান আজ ( ২২ আগনস্ট) এক আদেশে শিবালয় থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে মাদারিপুর জেলায় সংযুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহীন বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো তদন্ত করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অপু মোহন্ত ।
শিবালয় থানার ওসি মোঃ শাহীন জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি থানায় ছিলেন না। এসময় এএসআই আরিফ হোসেন একজনকে থানার ভিতরে মারধর করেন। এই ঘটনায় তাকে সোমবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে মাদারিপুর জেলায় বদলি করা হয়েছে। তিনি সোমবার সন্ধ্যার পর শিবালয় থানার ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ আহমেদের কাছে তার দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।
ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু মোহন্ত বলেন, শিবালয় থানায় পুলিশ সদস্যের হাতে একজন মারধরের ঘটনায় তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে বিষয়টি তদন্ত করছেন। সোমবার থেকে চলা তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা জানান, স্ত্রীসহ তিনি ঢাকায় থাকেন। তার ৫ বছরের শিশু কন্যা থাকেন দাদীর কাছে। গত ২০ জুলাই শিবালয় উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা মোঃ মান্নান খানের চাচাতো ভাই, রজ্জব খান তার মেয়েকে ধর্ষণের চেস্টা করে। বিষয়টি হাতে নাতে ধরে ফেলে শিশুটির দাদী। পরে স্থানীয় সমাজপ্রতিদের জানানো হলেও, প্রভাবশালী হওয়ায় কারণে তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন না। উল্টো তাকেই নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হতো।
তিনি বলেন, এর পর গত ১৪ আগষ্ট শিবালয় থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও থানা থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে মা ও শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আসি। এসময় থানার ওসি রুমে ছিলেন না। এএসআই আরিফ হোসেনের কাছে অভিযোগের কথাটি জানতে চাইলে থানার ভিতর মারধর করে। ঐ রাতেই পুলিশ সুপারের কাছে বিচার দেওয়া হয়। পরে মামলা রেকর্ড হয়। এবং অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে রাতেই থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
Leave a Reply