শিবালয় প্রতিনিধি:মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজারে এক রাতে ৩টি স্বর্ণের দোকানসহ ৯টি দোকানে ডাকাতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ৩টি স্বর্ণের দোকান থেকে স্বর্ণালংকার ও ৪টি মোবাইলের দোকান, ১টি মুদিদোকান, ১টি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্টের দোকান থেকে নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা ৭ভরি স্বর্ণ, ৬শ’ ভরি রুপা এবং নগদ টাকাসহ প্রায় ১৮লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগি ব্যাবসায়ীরা।
পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নৌপথে নৌকা নিয়ে নদীর পাড়ে নেমে বাজারে এসেই বাজারের পাহারাদারদেরকে বেধে ফেলে তারা। ডাকাত দলের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে দোকান ঘরে ঢুকে বাজারের ব্যাবসায়ীদেরকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে।দোকান ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে সিন্ধুকের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও ক্যাশ বাক্স থেকে অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগিরা হলেন, স্বর্ণ ব্যাবসায়ী রঞ্জিত মালাকার, সুশান্ত মালাকার, তাপস কুমার হলদার। ফ্ল্যাক্সিলোড ও মোবাইল ব্যাবসায়ী আব্দুল মতিন, মো. আনোয়ার হোসেন, গোপাল চন্দ্র রায়। আব্দুর রউফ ঔষুধের দোকান, হাসান আলী এজেন্ট ব্যাংককিং, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুদি দোকানদার।
স্থানয়ী ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বলেন,মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টায় ডাকাতদলের সদস্যরা বাজারে এসে শাবল ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আলমারি, সিন্দুক ভেঙে স্বর্ণালংকার ও অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে শিবালয় থানার ওসিসহ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল জাফরগঞ্জ বাজারে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জুয়েলারী ব্যবসায়ী রঞ্জিত মালাকার বলেন, নৌকাযোগে প্রায় ১৫/১৬জনের ডাকাত দল জাফরগঞ্জ বাজারে আসে। এরপর দল বেধে ভাগ হওয়ে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ৯টি দোকানে একই সময়ে ডাকাতি করে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, তার স্বর্ণলংকারসহ নগদ প্রায় ১৩লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
শিবালয় থানার ওসি শাহ নুর আলম বলেন, ১৫/১৬জনের একটি ডাকাত দল স্টিল বডির একটি নৌকা নিয়ে এসে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply