অনলাইন ডেস্ক:শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে কাগজের দাম, কালির দাম বৃদ্ধি সহ নানা প্রতিকূলতার পরও বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেওয়া হবে। ২০১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বছরের শুরুতে প্রায় ৩৫ কোটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়ে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদের “অনিমা চৌধুরি অডিটোরিয়ামে” জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা দেশে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। যারা এই দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, আর যাই হোক তাদের এই দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। এই বিজয়ের মাসে প্রত্যয় হওয়া উচিত এই দেশে কোন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি থাকতে পারে না।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যালেঞ্জার প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিরিন আক্তারসহ অন্যান্যেরা বক্তব্য রাখেন। আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার।
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ২৩ বছর দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার রাজনীতি জীবনে পুরো জীবনটাই কারাগারে কাটিয়েছেন। কী করে সংগ্রাম করতে হয়, কী করে ত্যাগ করতে হয়, তা বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছেন। দেশের মানুষকে শোষণের হাত থেকে রক্ষায় সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ভাষণ যা বিশ্বের অন্যতম ভাষণ। তাঁর ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দেশ স্বাধীন করেছেন।বিএনপির উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে নাকি দেশ একজন দণ্ডিত আসামির কথা চলবে। এ বলে বিএনপি দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী আরোও বলেন, জিয়াউর রহমান সকল আইন-সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাতে কারফিউ জারি করেছিলেন। মানুষের অধিকার নষ্ট করেছিলেন। জিয়া অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করে ক্ষমতায় ছিলেন। তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলেন। কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করেছিলেন। ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দলের লোভীদের নিয়ে অবৈধ সরকার গঠন করেন। এখন আমরা তাদের কাছে গণতন্ত্রের কথা শুনি। যারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিলেন। যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছেন সেখানে তাদের হত্যা করেছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে অসংখ্য সেনা সদস্যকে হত্যা করেছিল। যারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ধ্বংস করার জন্য বারবার হরতাল ডেকেছে। পার্বত্যঞ্চলের শান্তি চুক্তি বানচাল করেছে। তারা শান্তির বিপক্ষের শক্র। বাংলাদেশে রাজনীতি থাকবে, রাজনীতিতে পক্ষ বিপক্ষ থাকবে। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশে সরকার থাকবে, বিরোধী দল থাকবে কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী কেউ থাকবে না। স্বাধীনতা বিরোধীতারা এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি জেলায় জেলা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নতুন বছরেই হাতে বই পাচ্ছে। গরিব শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাচ্ছে। সবই শেখ হাসিনার জন্য। জনগণের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছেন তিনি। তরুণ প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন। তার দূরদর্শিতায় উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply