অনলাইন ডেস্ক: সময়টা মোটেও পক্ষে যাচ্ছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। নানামুখী চাপের মাঝে খেলতে নেমেছেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। জাতীয় সংগীতের সময় তার চোখের জলই বলে দিচ্ছিল সে কথা। অশ্রু ঝরানো ম্যাচের শেষটা হতে পারত অনেকটা বিষাদে ভরা। তবে সেটা আর হয়নি। রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে তার মাথা ঝাড়ানোটাই বলে দিচ্ছিল এ জয় কতটা স্বস্তির।
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঘানাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে পর্তুগাল। দলটির তারকা খেলোয়াড় পেয়েছেন গোলের দেখা। দলও মাঠ ছেড়েছে শেষ হাসি হেসে।
খেলার প্রথমার্ধে কোনো দলই পায়নি। অথচ শেষার্ধে গিয়ে উভয় দল মিলে পাঁচবার জালে জড়িয়েছে বল। যার শুরুটা করে দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যাচ তখন গড়িয়েছে ৬২ মিনিটে। রোনালদো বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন। ঘানার গোলকিপার লরেন্স আতি-জিগি এগিয়ে এসে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে উল্টো বিপদে ফেলেন দলকে। পেনাল্টি পেয়ে যায় পর্তুগাল। ৬৫ মিনিটের সময় সেই পেনাল্টি থেকেই গোল আদায় করে এগিয়ে নেন দলকে।
তবে গোল হজম করলেও দমে যায়নি ঘানা। শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে তারা। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতেও হয়নি। ৭৩ মিনিটের মাথায় আন্দ্রে এউয়ির গোলে সমতায় ফিরে তারা। তবে সেটাও বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৫ মিনিট পরই জোয়াও ফেলিক্স ফের এগিয়ে নেন পর্তুগীজদের। তাতেও যেন মন ভরছিল না। দুই মিনিট পর রাফায়েল লিও আরও এক গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন।
দ্বোহার রাস আবু আবুউদ স্টেডিয়ামে ৬৫ মিনিট পর্যন্ত যে ম্যাচের স্কোর লাইন ছিল শূন্য, সেই খেলাতেই পরের ২৪ মিনিট যেন হয়ে উঠে গোল উৎসবের প্রাঙ্গণ। ৮৯ মিনিটে ওসমান বুকারির গোলে ব্যবধান কমায় ঘানা। তারপর খেলা গড়ায় ইনজুরি টাইমে। যেখানে শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ঘানা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। দারুণভাবে তা প্রতিহত করেন পর্তুগীজ গোল রক্ষক। পরে দানিলো সেটা ক্লিয়ার করেন।
তাতে ৩-২ গোলের বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল। ঘানাকে হারিয়ে শুরুটা করল পয়েন্ট অর্জন করে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে নানা ঝক্কি ঝামেলার মাঝে থাকা রোনালদোর কাছে যে জয় পরম আরাধনার।
Leave a Reply