1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
আমি কারও ফোন ধরতে বাধ্য না, আমরা প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর মালিককে জেলে ভরে দিতে পারি শিবালয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণ সিংগাইরে সরকারি খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ সিংগাইরে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্রকে কু-পি-য়ে  হ-ত্যা শিবালয়ে রাজনৈতিক পরিচয়ে নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি চক্র মানিকগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে আপন ভাই-ভাবীকে মারধর শিবালয় থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত সিংগাইরে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু শিবালয়ে অ-গ্নি-কা-ন্ডে-র ঘটনা প-রি-দ-র্শ-নে জেলা প্রশাসক ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লা বছরে ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে

যে কারণে কারো মৃত্যুতে আহাজারি করতে নিষেধ করেছেন নবীজি

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৬৫ বার পড়েছেন

অনলাইন ধর্ম ডেস্ক: মানুষের মৃত্যু অবধারিত। এটা চির অম্লান-সত্য। ফলে জীবনের সময়টুকু পার্থিব এ জীবনের মূলধন। তাই আখিরাতের কল্যাণের কাজে যদি এ জীবন ব্যয় করা হয়, তাহলে অনিঃশেষ সফলতা।

আর যদি তা বিনষ্ট করা হয় গুনাহ ও পাপাচারে— আর এ অবস্থায় মৃত্যু হয়, তাহলে সে হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘ঈমানদার ব্যক্তি গুনাহকে এমন মনে করে, যেন সে কোনো পাহাড়ের নিচে বসে আছে। আর যেকোনো মুহূর্তে পাহাড়টি তার ওপর ধসে পড়তে পারে।’ (বুখারি : ১১/৮৯)

মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণিকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আল ইমরান, আয়াত : ১৮৫)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা আন নিসা, আয়াত : ৭৮)

কারো মৃত্যু হলে তার জানাজা ও দাফন দেওয়া জীবিতদের উপর ফরজে কিফায়া। মৃতের জানাজার নামাজ ও দাফন-কাফনে অংশ নেওয়ার বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে।

আমাদের সমাজে কেউ মারা গেলে অথবা তাকে কবর দেওয়ার জন্য জানাজার খাটিয়ে উঠাতে গেলে তার আত্মীয় স্বজনেরা বিশেষত মহিলারা বুক চাপড়িয়ে, করুণ সুরে বিভিন্ন গীত গেয়ে গেয়ে আহাজারী করে। অথচ শরীয়তে এটি শক্তভাবে নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পেশিতে আঘাত করে, কাপড় ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে এবং জাহেলিয়াত যুগের মত বিভিন্ন প্রবাদ বলে যে আহাজারি করল, সে আমার আমাদের মধ্য থেকে নয়।’ (বুখারী ১২৩৫)

সুতরাং প্রিয়জন মারা গেলে ব্যথিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করা উচিত। আর ধৈর্য ধারণ করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি চোখের পানি চলে আসে কিংবা কান্নার মৃদু মৃদু আওয়াজ বের হয়ে যায় তাহলে এটা দোষণীয় নয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘প্রিয়জন মারা গেলে যে বান্দা আমার সন্তুষ্টি অর্জনকল্পে ধৈর্য ধারণ করে তাকে আমার পক্ষ থেকে জান্নাত পুরস্কৃত করা হবে।’ (বুখারী ৬০৬০)

আরেক হাদিস হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি যার কোনো প্রিয়জনকে উঠিয়ে নিই আর সে ধৈর্য ধারণ করে এবং নেকির আশা রাখে আমি তাকে জান্নাত দিয়েই সন্তুষ্ট হব। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪০১)

হজরত ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘আপনজনের কান্নাকাটির কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয়।’

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :