অনলাইন ডেস্ক: মানুষের পরিচয় লুকিয়ে থাকে অন্তরে। যার অন্তর যেমন হয়, তার আচার-ব্যবহারও তেমন হয়। শক্ত মনের মানুষ থেকে দয়া, ভালোবাসা, সৌজন্য, সৌহার্দ আশা করা যায় না। আর অন্তর শক্ত হলে আল্লাহর রহমত থেকেও বঞ্চিত হতে হয়।
পক্ষান্তরে নরম অন্তর যার হয়, সে নিজেও মানুষের প্রতি রহমকারী হয়, আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমপ্রাপ্ত হয়।
হজরত আবু দারদা (রা.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে হাজির হয়ে বলল, আমার হৃদয় খুব কঠিন।’ তিনি বললেন, ‘তুমি কি তোমার অন্তর কোমল করতে চাও?’ সে বলল, ‘হ্যাঁ।’ তখন তিনি বলেন, ‘তাহলে এতিম বাচ্চাদের আদর করো, স্নেহ-ভালোবাসা প্রদান করো, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দাও, তাদের খাবার দাও। তবেই তোমার অন্তর কোমল হবে।’ নির্দয় ব্যক্তি সবচেয়ে বড় হতভাগা। আল্লাহ তার প্রতি ক্রোধান্বিত হন। তার প্রতি রহমত বর্ষণ করেন না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কেবল হতভাগ্য ব্যক্তির হৃদয় থেকেই দয়া তুলে নেওয়া হয়’ (তিরমিজি : ১৯২৩)।
তাই আসুন, শিশুর প্রতি স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসাপূর্ণ আচরণে সচেষ্ট হই। ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ নীতি পালন করে পার্থিব শান্তি লাভ করি এবং আখেরাতে বিপুল সওয়াব লাভে ধন্য হই। আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন।
Leave a Reply