অনলাইন হেল্থ ডেস্ক: ২০৩০ সালের আগেই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির পঞ্চম যৌথ পর্যবেক্ষণ সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে দেশে ওষুধের, টিকার কোনো ঘাটতি নেই। দেশে সংক্রামক রোগ অনেক কমেছে। পোলিও, টিটেনাস, কালা জ্বরমুক্ত হয়েছে দেশ। সংক্রামক রোগ ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মুল করতে হবে। এর মধ্যে ম্যালেরিয়া অন্যতম। ২০১৪ সালে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ছিল প্রায় ১৪ হাজার। সেই সংখ্যা এখন কমে নেমেছে ৬/৭ হাজারে। আগের তুলনায় যা ছিল তা এখন ১০ শতাংশে নেমেছে, অর্থাৎ ৯০ শতাংশ কমেছে। এটা আমাদের বড় অর্জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৬৪ জেলার মধ্যে এখন ৫১টি জেলা ম্যালেরিয়ামুক্ত। ম্যালেরিয়ায় অনেক লোক মারা যেতো। গত তিন বছরে তিনজন ম্যালেরিয়া রোগী মারা গেছে। প্রতিবছর একজন ম্যালেরিয়া রোগী মারা গেছে। কিন্তু গত দুই বছর ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এই তিন জেলায় ম্যালেরিয়ার বিস্তার রয়েছে। সেখানেই মৃত্যু ঘটেছে। দেরি করে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আমরা চাই না ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ুক। করোনাকালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়েছে। লোকজন চিকিৎসা নিতে পারেননি। সেই কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা ছিল এবং সেটাই ঘটেছে।
ম্যালেরিয়া নির্মূলে যারা কাজ করছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূলের লক্ষ্য রয়েছে। আমি আশা করি, তার আগেই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল হবে।
তিনি আরও বলেন, ম্যালেরিয়া নির্মূলে, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে যেসব এলাকার, সেখানে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এসব অঞ্চলের চা-বাগানে, কনস্ট্রাকশনে, আর্মি, পুলিশ সদস্যরা যারা কাজ করেন, তাদেরকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত, তারা কীভাবে নিজেকে ম্যালেরিয়া থেকে সুরক্ষিত রাখবেন সেই বিষয়ে। হ্যাঁ সময় মতো চিকিৎসারও প্রয়োজন আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বারধান জাং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply