1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দেশের উন্নয়ন শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে:মমতাজ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে হরিরামপুরে গাছের চারা রোপন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ক্ষেতমজুর সমিতির সভা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আব্দুল লতিফ প্রধান শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হরিরামপুরে মৃত গ্রাহকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র আর মির্জা ফখরুল ভয় দেখায় গোবিন্দগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু   গাইবান্ধা জেলা আ’লীগ সভাপতির সহধর্মিনীর ইন্তেকাল হরিরামপুরে উদ্যোক্তাদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ  খালেদাকে বিদেশ নিতে আইনগত জটিলতা আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মেসির অমরত্বের রাতে ‘মহানায়ক’ ডি মারিয়া

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১০৫ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: আনহেল ডি মারিয়া কাঁদলেন। অঝোরে কাঁদলেন। ৮ বছর আগেও মারাকানায় কেঁদেছিলেন তিনি। মারাকানার সেই কান্নায় মিশে ছিল হৃদয় ভাঙ্গার গল্প। এবারের কান্নাটা ভাঙা হৃদয় জোড়া লাগার, তিন দশকের অপ্রাপ্তি আর আক্ষেপ ঘুচানোর আনন্দের কান্না এটি।

আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের সেরা পার্শ্বচরিত্র বললে কি ভুল হবে ডি মারিয়াকে? ব্রাজিলে ২০২১ কোপা আমেরিকার জয়সূচক গোলটাও করেছিলেন তিনি। গতকাল ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপের নাটকীয় ফাইনালের শেষ অঙ্কে নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কিন্তু ডি মারিয়া? আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের পথটা তো তারই তৈরি করে দেওয়া। শুরুতে পেনাল্টি জিতলেন। গোলও করলেন একটি।

গল্পের ভূমিকার প্রথম লাইনে লিওনেল মেসি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজদের সঙ্গে তাই ডি মারিয়াকে রাখতেই হবে। না হয় অপূর্ণ থেকে যাবে সব।

ইনজুরিতে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে পারেননি ডি মারিয়া। বেঞ্চে বসে কেঁদেছিলেন তিনি। একের পর এক চান্স মিস করে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। সেদিন মারাকানায় ডি মারিয়া থাকলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো, আর্জেন্টাইন ভক্তরা এটা মনে প্রাণেই বিশ্বাস করতেন। এবার গ্রুপপর্বের ম্যাচগুলো ভালোভাবেই পার করেন ডি মারিয়া। কিন্তু নকআউট পর্বে ফিটনেসের কারণে খেলেছেন মাত্র ৮ মিনিট! সেমিফাইনালে নামাই হয়নি তার। লিওনেল স্কালোনি ডি মারিয়াকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য।

সেই ডি মারিয়া আট বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নেমে গোল করলেন। গোলের পর চোখে অশ্রু ধরে রাখতে পারছিলেন না তিনি। মার্কোস আকুনিয়ার বদলি হয়ে বেঞ্চে ফিরে যাওয়ার পরও বারকয়েক কেঁদেছেন। শেষদিকে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলগুলো ডি মারিয়ার হৃদয়ে যেন তীর হয়ে বিঁধছিল। প্রার্থনা করছিলেন। হয়তো বলছিলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের আর হতাশ করবেন না!’ গত ৩৬ বছরে দু’বার ফাইনালের হৃদয় ভাঙে আর্জেন্টিনার। এবার হেরে গেলে কী হতো সেটা উপরওয়ালাই জানেন। কিন্তু প্রেক্ষাপট সেদিকেই যাচ্ছিল। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ৯০ মিনিট পর ২-২ সমতা! মেসি ১০৯ মিনিটে গোল করলেন। সেটিও যথেষ্ট হলো না। ১১৮ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টিতে গোল করে এমবাপ্পে ফের সমতা এনে দিলেন ফ্রান্সকে। নাটকীয়ভাবে ফের মোড় নিলো ম্যাচ। নার্ভের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিচ্ছিল দু’দল। শেষ পর্যন্ত স্নায়ু পরীক্ষায় আর্জেন্টিনাই জিতলো। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন।

গঞ্জালো মন্তিয়েলের হ্যান্ডবলের কারণে দ্বিতীয় পেনাল্টি পেয়েছিল ফ্রান্স। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার চতুর্থ গোলটি করে কেঁদে ফেলেন গঞ্জালো মন্তিয়েল। ডি মারিয়াসহ দলের অন্য খেলোয়াড়রাও সে কী কান্না!

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :