অনলাইন ডস্ক: উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক সংযোগ, ক্যাবল স্থাপন, সফটওয়্যারে আপডেট দেওয়ার কাজ শেষ। ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এখন সেগুলো প্রতিদিন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। স্টেশনের ডিজিটাল টিকিট কাউন্টারের মেশিনে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া টিকিট সংগ্রহের জন্য আরও দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। কেউ চাইলে টপআপ ও মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। আর প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নাগরিকদের জন্য একটি ম্যানুয়াল কাউন্টারও রয়েছে। যাত্রীরা চাইলে এক বা একাধিক ভ্রমণের জন্য টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় উত্তরা স্টেশন হবে মেট্রোরেলের শুরুর স্টেশন। তিনতলা স্টেশন ভবনের ওপরের তলার প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রীরা ট্রেনে উঠবেন। ট্রেন পর্যন্ত পৌঁছাতে যাত্রীদের আগে এস্কেলেটর দিয়ে স্টেশনের দ্বিতীয় তলার কনকোর্স হলে প্রবেশ করতে হবে। তবে এস্কেলেটরের পাশাপাশি উপরে ওঠার জন্য লিফটের ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রতিবন্ধী বা প্রবীণ নাগরিকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই সুবিধা রাখা হয়েছে।
টিকিট সংগ্রহের পর প্ল্যাটফর্মে ওঠার প্রবেশ পথে নির্ধারিত জায়গায় টিকিট পাঞ্চ করে যাত্রীরা দোতলা থেকে নির্ধারিত এস্কেলেটর বা সিঁড়ি দিয়ে মেট্রোরেলের প্ল্যাটফর্মে যাবেন। এখানে ট্রেন এসে থামার সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে যাবে। কিন্তু তখনি যাত্রীরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। আগে যাত্রীদের নামতে দিতে হবে তারপরই উঠার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। ট্রেনের দরজার সামনে লেখাও রয়েছে আগে নামতে দিন।
মিরপুর অংশের কাঁজিপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে এখনও কিছু কাজ বাকি। এই দুই স্টেশনের বাইরে ও ভেতরে প্রবেশ পথের নির্মাণ কাজ এখনও চলছে। সংশ্লিষ্টরা কর্মীরা জানিয়েছেন, দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। সেজন্য দিন রাত মিলিয়ে কাজ শেষ করতে হচ্ছে তাদের। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, উদ্বোধনের জন্য আমরা প্রায় প্রস্তুত। এখন যেটুকু কাজ বাকি রয়েছে তা ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, উদ্বোধনকে ঘিরে এখন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply