1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ঘিওরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ : সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত – আহত ৬ দেশ একজন লেডি ফেরাউনের হাতে পড়েছিল-রুহুল কবির রিজভী মানিকগঞ্জে দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপিত মানিকগঞ্জে ঢাকা বিভাগীয় জিয়া  ক্রিকেট  টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হরিরামপুরে  বিএনপির ৩১ দফা তুলে ধরলেন সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জি: মঈনুল ইসলাম খান আজ ৬ডিসেম্বর জনযুদ্ধের বাংলাদেশকে স্বীকৃতির দিন সিংগাইরে টমেটো ক্ষেত থেকে অটো চালকের মৃতদেহ উদ্ধার  শিবালয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান ভবনে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট আয়োজিত গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড ’সোনার বাংলার’ প্রাকৃতিক সৌন্দযের অন্যতম পাহাড়-নদী বেষ্টিত নেত্রকোণা

মানুষের গায়ে হাত দিলে রক্ষা নেই: প্রধানমন্ত্রী

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ২২০ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: মানুষের গায়ে হাত দিলে ক্ষমা করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কেউ রাজনীতি করতে চাইলে সুষ্ঠু রাজনীতি করুক। আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু সাধারণ মানুষের গায়ে কেউ হাত দিলে তাদের রক্ষা নাই।

রবিবার (০৬ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ: বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের খণ্ডচিত্র’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ভবিষ্যতে অগ্নি সন্ত্রাসের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে কেউ ঘটাতে না পারে। দলমত নির্বিশেষে যেই হোক।

যারা ধ্বাংসাত্মক কাজ করতে পারে ও কষ্ট দিতে পারে, তাদের পাশে মানুষ কীভাবে দাঁড়ায় সেই প্রশ্ন করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি জানি না মানুষ আবার এদের পাশে কীভাবে দাঁড়ায়? কীভাবে সমর্থন করে?

বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা চান না বলে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা শান্তি চাই। দেশের উন্নতি ও মানুষের কল্যাণ চাই। দেশের প্রত্যেকটা মানুষের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই অধিকার সংরক্ষণ করার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।

সরকার উৎখাতের নামে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে অগ্নি সন্ত্রাস হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কীভাবে মানুষ মারে? একটা গাড়িতে যাচ্ছে জীবন্ত মানুষগুলো। সেখানে আগুন ধরিয়ে মানুষকে হত্যা করা। কীভাবে মানুষ পারে মানুষের ক্ষতি করতে? এটাই নাকি আন্দোলন! এই আন্দোলনতো আমরা কখনও দেখিনি।

স্কুল জীবন থেকে আন্দোলন করেছেন বলে জানান শেখ হাসিনা। সামরিক শাসক আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান ও জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের রাজপথে থাকার কথা তুলে ধরেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তো এই কথা কখনও স্বপ্নেও ভাবি নাই। পেট্রল বোমা দিয়ে অথবা অগ্নি সন্ত্রাস করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। সেটা আন্দোলন!

সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি ঘোষণা দিল অবরোধ এবং হরতাল। কিন্তু কাজ হলো মানুষকে হত্যা করা। আজ এখানে যারা উপস্থিত তারা তো সামান্য কয়েকজন। ২০১৩ সালের তিন হাজার ৬০০শ’ জনের মতো মানুষকে পেট্রল বোমা মেরে আহত করেছে। ২০১৪ ও ১৫ সালেও করেছে। একইভাবে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষের জীবনজীবিকা শেষ করে দিয়েছিল। এটা কী রকম আন্দোলন। সেটাও জানি না।

২০১৩ সালে আন্দোলনের নাম বিএনপি মানুষ খুন করা শুরু করেছিল বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রায় ৫শ’ জন মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে এবং সাড়ে তিন হাজার মানুষ আহত হয়েছিল বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। জীবনজীবিকার ব্যবস্থা যতটুকু পারি করেছি। কিন্তু যে মানুষগুলো আপনজন হারিয়েছে। তাদের ব্যথা, কষ্ট ও বেদনা তো দূর করা সম্ভব না। আগুনে পুড়ে অনেকের স্বপ্ন-আঙ্খাক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।

দেশবাসীর উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই দুঃসময়ের কথা যেন কেউ ভুলে না যায়।

আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার পর থেকে দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি যতটুকু সম্ভব আমরা করে যাচ্ছি। যেটুকু কাজ করে যাচ্ছি মানবকল্যাণে। কিন্তু তারই মাঝে এই ধরনের আঘাত চরম মানবাধিকার লঙ্গন করা।

অগ্নিসন্ত্রাসী ও তার মদতদাতাতের বিচার এমনিই হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, বিচার বোধহয় আল্লার তরফ থেকেই হবে। হয়তো প্রত্যেক মামলার বিচার চলছে না। কিন্তু যারা অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। বিচারের কাজ চলছে। অনেকই শাস্তি পাচ্ছে। ভবিষ্যতেও পাবে। কিন্তু যারা হুকুমদাত্রী বা হুকুমদাতা তাদের কথাও আপনারা ভেবে দেখেন।

অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আহতের জন্য সাধ্যমতো কাজ করে যাবেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটাই আমার দায়িত্ব। কত যে লাশ টানতে হয়েছে। কত মানুষকে সহযোগিতা করতে হয়েছে। কত মানুষের যে চিকিৎসা দিতে হয়েছে তার শেষ নাই।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট কর্মসূচির নামে আগুন সন্ত্রাস করেছিল দাবি করে সেই সব ঘটনায় ভিডিওচিত্র তুলে ধরা হয়। পরে শেখ হাসিনা ওইসব ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তি ও নিহতদের সঙ্গে কথা বলেন। অনেক তাদের কষ্টের কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় তাদের সমবেদনা জানান তিনি।

সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- আহত, নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সামরিক আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সদস্যের পরিবারের সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :