মানিকগঞ্জ প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জ সিংগার উপজেলার সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় লুট হওয়া ৩৫লাখ টাকার মালামাল উদ্ধারসহ ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার তিন দিন পর আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য সেলিম মিয়াকে(৪৮) গ্রেপ্তার করে। সেলিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে গ্রেপ্তার করা হয় মালেক (২৬) , আলেক (২১), সুমা আক্তার (২৫)। এদের মধ্যে সুমি আক্তারের কাছ থেকে লুন্ঠিত মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয় ও সে আদালতে ১৬৪ ধারায় দায়স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সাথে জড়িত আরো গ্রেপ্তার করা হয় ৫জনকে । এরা হলো খলিল মিয়া (৪০), সামসুল আলম (২৮), সুমন ফকির (২৫), মোক্তার হোসেন (৩৩), সজিব মিয়া(২২) ও স্বর্নের দোকানদার আইয়ুব মোল্লা (৩৪)। এদের মধ্যে সেলিম মিয়ার বাড়ি থেকে লুন্ঠিত এলএডি টিভি, আইয়ুব মোল্লার বাড়ি থেকে ১৪ আনার স্বর্নালংকার ও ২০ ভরি রূপার গহনা ও ১২ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।
উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা (হঠাৎপাড়া) গ্রামের সৌদি প্রবাসী জুয়েল রানার বাড়িতে গত ১৯ নভেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জুয়েল রানা এই গ্রামের আল হাবিব এর ছেলে।
ঘটনার পরের দিন ২০ নভেম্বর জুয়েল রানার স্ত্রী মনি বেগম (৩০) সিঙ্গার থানায় অজ্ঞাতনামা ৯ /১০ জনের নামে ডাকাতির মামলা করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ডাকাত দল প্রবাসীর একতলা বিল্ডিং বাড়ির পিছনের ওয়ালের বাসের মই ঠেকাইয়া ছাদে ওঠে। এরপর চিলেকোঠার দরজা কৌশলে খুলিয়া বিল্ডিং এর ভিতরে ঢুকে যায়। রুমের দরজা ভাঙ্গিয়া জুয়েল রানার পরিবারের সকলকে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করেন। এ সময় জুয়েলের স্ত্রী ও তার ভাই ফোন করে আশেপাশের মানুষকে ডাকাতের বিষয়টি মোবাইলের মাধ্যমে জানাতে চাইলে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের রাম দা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বাড়ির সকলকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ৩৩ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণ, ২০ ভরি রুপা, নগদ ১৫ হাজার টাকা, ১২ হাজার ৩০০শ সৌদি রিয়াল, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি টিভি যাহার সর্বমোট বাজার মূল্য ৩৫ লক্ষ ১৮ হাজার ৫শ টাকা বলে ধারণ করা হচ্ছে।
পুলিশ ডাকাতদের কাছ থেকে এই পর্যন্ত একটি এলইডি টিভি, ১৪ আনা স্বর্ণ, ২০ ভরি রুপা, দুইটি রামদা, একটি সামুরাই, একটি শাবল, একটি বেনা, একটি কাটার, ধারালো দা উদ্ধার করেছেন। এবং ১০ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, ঘটনার দিনি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় মামলা নেওয়ার পর বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ডাকাতের সাথে জড়িত ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার কর হয়। বাকি মালা মাল উদ্ধারসহ এই ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply