অনলাইন ডেস্ক: দায়িত্বশীল ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যম সবপক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন করে এবং দেশের নাগরিক ও ভোটারদের সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় দেশের সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এমন বক্তব্য করেন।
ঢাকায় অবস্থিত জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয় থেকে সোমবার এক বার্তায় জানানো হয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী। এতে ১৭টির বেশি জাতীয় সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সুপরিচিত নাগরিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি সাংবাদিকেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং দায়িত্ব পালনের সময় যেসব বিষয়ের মুখোমুখি তাদের হতে হয়, সেগুলো তুলে ধরেন।
সূচনা বক্তব্যে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করা হয়েছে। গত কয়েকদিনের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং দেশের নানাজনের নানা মত উপস্থাপনে সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বের আলোকে আজকের এই আলোচনা সময়োচিত। দায়িত্বশীল ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যম সবপক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন করে এবং দেশের নাগরিক ও ভোটারদের সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করে।’
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষা গণতান্ত্রিক সমাজকে যুক্তিতর্ক, আলোচনা ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করে।’
গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাটালি শুয়ার্ড এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ডেলিগেশনের উপপ্রধান ড. ব্রেন্ড স্প্যানিয়ার। তাঁরা ইইউ অঞ্চলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সার্বিক পরিস্থিতি এবং সরকার ও ব্যবসায়িক সমাজকে জবাবদিহির মধ্যে রাখতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মুক্ত গণমাধ্যম যেকোনো সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল যুক্তিতর্কই উপস্থাপন করে না, আমাদের সবাইকে সৎ থাকতেও সহায়ক হয়। এটি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।’
গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা মানবাধিকার বিষয়ক সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন এবং সংবাদমাধ্যমের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। অংশগ্রহণকারীরা অংশীজনদের একসঙ্গে করতে জাতিসংঘের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
Leave a Reply