অনলাইন ডেস্ক: ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে অন্তত ৬১ জন অভিবাসী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে নৌকাটিতে থাকা যাত্রীদের কেউই জীবিত নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও আছে। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬১ জনেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, প্রায় ৮৬ জন আরোহী নিয়ে জুওয়ারা শহর থেকে ছেড়ে এসেছিল নৌকাটি। যাত্রা শুরুর পর বড় বড় ঢেউয়ের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ ৬১ অভিবাসী নিখোঁজ হন। তাদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইওএম বলেছে, নৌকাডুবির শিকার অভিবাসীদের বেশিরভাগই নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া এবং অন্যান্য আফ্রিকান দেশ থেকে এসেছিল। দুর্ঘটনার পর ২৫ জন জীবিত ব্যক্তিকে লিবিয়ার একটি আটক কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার জন্য লিবিয়া উপকূলকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে মানবপাচারকারীরা। প্রতিবছর ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা বেড়েছে। বিপজ্জনক এই সমুদ্রযাত্রায় পথেই অনেকে সবচেয়ে করুণ পরিণতি বরণ করছেন। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার সময় শুধুমাত্র এই বছর ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মানুষ ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)।
Leave a Reply