1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মিজানকে মোবাইলে প্রাণনাশের হুমকি থানায় জিডি অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন এবং সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণের দাবিতে মানিকগঞ্জে সুজনের মানববন্ধন    মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের সবটিতেই বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী শিবালয় কৃষকদলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত শিবালয়ে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক আটক মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটের যমুনা নদীর তীরে ৫লাখ কৃষকের সমাবেশের প্রস্তুতি শিবালয়ে নাশকতা মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা, শিবালয়ে আনন্দমিছিল মানিকগঞ্জ ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি গঠন শিবালয়ে বিএনপি’র আনন্দ মিছিল

বিডিআর হত্যাকান্ডের ঘটনা পুনঃতদন্ত হলে আসল রহস্য উন্মোচিত হবে: মেজর হাফিজ

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৮৩ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক:বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃতদন্ত হলে আসল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হৃদয় বিদারক। এই ঘটনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও সুদূর প্রসারি কার্যক্রম রয়েছে, যাতে এই দেশটা একটা পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা যায়, যাদের কোনো শক্তিশালী সেনা বাহিনী থাকবে না। ওই হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তে সেই রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। গতকাল মঙ্গলবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছে, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করার।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা ও আরও ১৭ জন পরিবারের নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের কয়েকজন অফিসার মিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছিলাম। আমাদের সৃষ্ট এই সেনাবাহিনী জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করেছিলো প্রত্যেকটি আন্দোলনে-সংগ্রামে জনগণের সাথী হয়ে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলো। কিন্তু সেই সেনাবাহিনীকে ধবংস করার জন্যই প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো এই বিডিআর হত্যাকাণ্ড। আমরা আশা করব, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্মোহভাবে, নিরপেক্ষভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবেন এবং বিচারের কাজ দ্রুত শুরু করবেন।

তিনি বলেন, ওই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেক নিরহ ব্যক্তিকে দণ্ডিত করা হয়েছে, অনেক দোষী ব্যক্তি শাস্তির আওতার বাইরে চলে গিয়েছে। তবু আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা বিএনপির অনুরোধে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেছেন এবং এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যত পথপরিক্রমার জন্য অত্যন্ত জরুরী।

মেজর হাফিজ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যে সকল দেশ এবং প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দালাল হিসেবে অপকর্মের লিপ্ত ছিলো তাদের সকলের চেহারা উন্মোচিত হোক জনগণের স্বার্থে। আমরা একটা নতুন যাত্রা শুরু করতে চাই। আমাদের দল থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করব।

তিনি বলেন, অতিঅল্প সময়ের মধ্যে এই নারকীয় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের একটা সুষ্ঠু পরিণতি আমরা দেখতে চাই, বিচার চাই। যাতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসমূহ, তাদের যাতে অন্তর শান্ত হয়। আমরা দেখতে চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেভাবে পুনঃতদন্ত ও পুনঃবিচারের উদ্যোগ গ্রহন করেছে এটি যাতে সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে আমরা বিএনপির তরফ থেকে তাদেরকে সর্বত্রভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করব। যদিও ঘটনার বিবরণ বা যেসব ব্যক্তিবর্গ অত্যন্ত ভাইটাল উইটনেস ছিলেন তারা কেউ বিদেশে চলে গেছেন, কেউ মৃত্যুবরণ করেছেন।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে এবং সাধারণ নাগরিকরাও বর্তমান সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ড ক্লোজড মনিটরিং করছি। এখন পর্যন্ত যে সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে শেষ মুহুর্তে দ্রুত সরকার থেকে বাইরে নিক্ষেপ করার জন্যে এবং ছাত্র-জনতার বিপ্লবে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা করার জন্যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান এবং সেনা বাহিনী এবং সামরিক বাহিনীর সকল সদস্যদেরকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

পুনঃতদন্তের কোনো সময়মীমা বিএনপি দেবে কিনা প্রশ্ন করা হলে হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় সময় দিতে চাই এই তদন্ত কমিটিকে। আমরা আশা করি দ্রুত তারা তদন্ত কাজ এবং বিচারের কাজ সম্পন্ন করবে। সময়সীমা বেধে দেয়া অত্যন্ত মুশকিল।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় সরকারের এবং বিদেশী শক্তির সংশ্লিষ্টতা ছিলো কিনা এই সম্পর্কে সবকিছু এখনো ধোঁয়াশাই রয়ে গিয়েছে। এই সম্পর্কে আমরা ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি পত্র হস্তান্তর করি। সেখানে অনুরোধ করা হয় যে, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের নতুনভাবে তদন্ত করে পুনঃবিচার করতে হবে। এর সাথে কারা কারা সংশ্লিষ্ট বিদেশী হস্তক্ষেপ আছে কিনা? কি কারণে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিলো এব্যাপারে কমিশন গঠনের জন্য আমাদের দলের মহাসচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। আমরা খুব আনন্দিত যে, অতিঅল্প সময়ের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও পুনঃবিচারের কাজ শুরু করার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। সেজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেন, এই পিলখানা ঘটনার প্রধান কারণ কি ছিলো? সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ভেঙে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ অকার্যকর, নতজানু রাষ্ট্রের পরিণত করার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছিলো। এতে জড়িত ছিলো অংশ হিসেবে বিদেশী শক্তির অংশ হিসেবে বেশ কিছু ব্যক্তির সুপরিকল্পিতভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মদদে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জনগণের বিশ্বাস রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ, শেখ ফজলে নূর তাপস, নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন, শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনু, সাহারা খাতুনসহ আরো অনেক আওয়ামী লীগের নেত্বৃৃন্দ এবং শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট আত্মীয় বর্গ জড়িত ছিলেন বলে জনগণের ধারণা রয়েছে।

বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনায় সেনা বাহিনীর তরফ থেকে তৎকালীন কোয়াটার মাস্টার জেনারেল বর্তমানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ‘আলোর মুখ’ দেখেনি বলেও মন্তব্য করেন হাফিজ।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা তদন্ত কমিশনের জন্য অনুরোধ করেছিলা। যদি সরকার মনে করে যে, এখন যে পুনঃতদন্ত ও পুনঃবিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তার পাশাপাশি যদি সরকার মনে করে যে একটা কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনে অনেকের অনেক কিছু বলার থাকবে, যেটা আগে বলতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ এবং অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সুত্র:ইনকিলাব

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :