1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শিবালয়ে শহীদ রফিকের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুথানের বর্ষপূর্তিতে শিবালয়ে বিএনপি’র বিজয় র‌্যালী শিবালয়ে বিদ্যালয়ের সুরক্ষা দেওয়াল রক্ষায় মানববন্ধন ভারতে দুই ভাইকে একসঙ্গে বিয়ে করলেন তরুণী জিয়াউর রহমানকে অবমাননা ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মানিকগঞ্জে বিক্ষোভ উন্নয়ন ও ইনসাফের ভিত্তিতে দুর্নীতি মুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা হবে: নাহিদ ইসলাম জামায়াত শিবিরকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ঢাকাসহ ১৩টি অঞ্চলে তীব্র ঝড় ও বৃষ্টির শঙ্কা প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক: বিএনপি নেতাকে গাছের সাথে বাঁধল গ্রামবাসী শিবালয়ে এ প্লাস না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের মেয়ের আত্মহত্যা

বরগুনায় পেটে ফরসেফ রেখেই সেলাই করলেন ডাক্তার রোগী এখন মৃত্যুশয্যায়

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: বরগুনায় ‘কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল’ নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর পেটের ভিতর ৭ ইঞ্চি লম্বা ফরসেপ রেখেই সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। অস্ত্রোপচারের সাত মাস পর গত ১৮ জুন বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় অস্ত্রোপচারে ফরসেপটি বের করা হয়। এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন কহিনুর বেগম (৭০) নামের ওই ভুক্তভোগী নারী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাত মাস আগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী গ্রাম থেকে বরগুনার পৌর শহরের সোনাখালী এলাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ষাটোর্ধ্ব কহিনুর বেগম। হঠাৎ পেটব্যথা শুরু হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বরগুনার ‘কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল’ নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। সেখানে ধরা পড়ে জরায়ুর সমস্যা। এরপর ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর ওই হাসপাতালেই তার জরায়ুর অস্ত্রোপচার করেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. ফারহানা মাহফুজ এবং কুয়েত প্রবাসী হাসপাতালের নিয়মিত চিকিৎসক ডা. সাফিয়া পারভীন।

অস্ত্রোপচারের পর থেকেই ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন কহিনুর বেগম। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে গেলে সেখানে এক্স-রে রিপোর্টে তার তলপেট কাঁচিসদৃশ একটি বস্তু ধরা পড়ে। এরপর গত ১৮ জুন বরিশালের শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে অপসারণ করা হয় ফরসেপটি। প্রাথমিক অস্ত্রোপচারে তার মলদ্বার বাদ দিয়ে আলাদা রাস্তা করা হলেও সেখানে ইনফেকশন হয়েছে। এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন কহিনুর বেগম।

কহিনুর বেগমের মেয়েজামাই হুমায়ুন সাংবাদিকদের বলেন, ‌‘আমার শাশুড়ি আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কুয়েত প্রবাসী হাসপাতালে ডাক্তার দেখাই। সেখানে তার অপারেশন করতে বলে। আমরা অপারেশন করাই এবং চারদিন হাসপাতালে থেকে বাড়ি নিয়ে আসি। এর একদিন পরেই তিনি আবার অসুস্থ হলে তাকে আবার সেই হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপরে সেখানে আবার ১১ দিন তারা ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়। তাও ভালো না হওয়ায় বরিশালে ডাক্তার দেখানোর পর তার পেটের মধ্যে কেঁচি পাওয়া যায়।’

এ বিষয়ে কহিনুর বেগমের মেয়ে ফাহিমা বেগম বলেন, ‘ভুল চিকিৎসার কারণে আমার মা এখন মৃত্যুশয্যায়। আমার মায়ের খাদ্যনালী কেটে ফেলতে হয়েছে। আমরা মামলা করবো। আমি ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিচার চাই।’

ভুল চিকিৎসার বিষয়ে কুয়েত প্রবাসী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক গাজী (মন্টু) সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুনেছি ওনার পেটে ফরসেপ পাওয়া যায়। ঘটনা শুনে আমি ওই পরিবারের খোঁজ নিতে বরিশালেও গিয়েছি। এ ঘটনার পরে আমার হাসপাতালের যন্ত্রপাতি চেক করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কিছু হারানো যায়নি। যেহেতু আপারেশনটি ডাক্তার করেছেন, তাই এ বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’

এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. ফারহানা মাহফুজের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরগুনাতে মানহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান। বিষয়টি শুনেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। সুত্র:ইত্তেফাক

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :