অনলাইন ডেস্ক: সতীর্থের বাড়ানো বল প্রথমে নিয়ন্ত্রণে নিলেন। খানিকটা সময় নিয়ে বোকা বানালেন গোলরক্ষক ওয়েভারটনকে। এরপর দু’হাত মেলে করলেন গোল উদযাপন। বলা হচ্ছে, নেইমারের অনুশীলনের কথা। আজ দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচেও কী তার উদযাপনের দৃশ্য দেখবে ফুটবলপ্রেমীরা? প্রশ্নের জবাব দেবে সময়। তবে সবচেয়ে বড় সুখবর হলো- আজ শেষ ষোলোর ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছেন নেইমার।
পূর্ণশক্তির দল নিয়েই কাতারে ‘হেক্সা’ মিশন শুরু করে ব্রাজিল। সময়ের স্রোতে ইনজুরির বেত্রাঘাতে দিশেহারা সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। সবশেষ গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মতো তারকাকে হারিয়েছেন তিতে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের সঙ্গী হয়েছেন অ্যালেক্স তেলেসও। হাঁটুর চোটের দুজনের বিশ্বকাপ শেষ। তারা মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন লম্বা সময়ের জন্য।
জেসুস এবং তেলেসের আগে ইনজুরির খাতায় নাম লেখান অ্যালেক্স সান্দ্রো ও দানিলো। এই দুজনের এখনও খেলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। সান্দ্রো পড়েছেন হিপ ইনজুরিতে। দানিলো ভুগছেন গোড়ালি নিয়ে। গ্রুপ পর্বে একই চোটে পড়েন নেইমার। বিশ্বমঞ্চে খেলা হয়নি দলের সবশেষ দুই ম্যাচে। তবে তিতে নিশ্চিত করেছেন, গোড়ালির চোট কাটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ দিয়ে দলে ফিরছেন দুজনেই।
ডান পায়ের গোড়ালির ফোলা কমায় শুক্রবার জিম-সেশন দিয়ে দলের ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পরদিন শনিবার মাঠে দলীয় অনুশীলনে যোগ দেন তিনি। তার প্রস্তুতির ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করা হয় ব্রাজিল ফুটবল দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে। যেখানে অনুশীলন করাকালীন বেশ প্রাণবন্ত দেখা যায় ৩০ বছর বয়সি ফরোয়ার্ডকে।
নিজেকে প্রস্তুত করার পাশাপাশি ভক্তদেরও সুখবর দিয়েছেন নেইমার। নিজের ফেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে অনুশীলনের ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি ভালো অনুভব করছি। আমি জানতাম যে আমি এখন (অনুশীলন) করব।’ পিএসজি ফরোয়ার্ডের এমন বার্তার পর রোববার ম্যাচ পূরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সুখবর দেন তিতে।
ব্রাজিলিয়ান কোচ বলেছেন, ‘সান্দ্রো খেলতে পারবে না। সে এখনও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। দানিলো এবং নেইমার ফিরছে। নেইমার সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ম্যাচ শুরু করার জন্য প্রস্তুত। এমনকি পুরো ম্যাচ খেলার জন্যও প্রস্তুত। আমি সবসময় আমার সেরা খেলোয়াড়দের শুরু থেকে খেলাতে চাই।’
Leave a Reply