অনলাইন ডেস্ক: আগামী ২৮ ডিসেম্বর স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ওইদিন প্রথম টিকেট কেটে মেট্রোরেলে চড়ে প্রধানমন্ত্রী উত্তরা থেকে আগারগাঁও আসবেন। ট্রেনটি সেদিন চালাবেন মরিয়ম আফিজা নামে একজন নারী চালক।
এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক বলেছেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সবগুলো ট্রেন চালানোর জন্য পর্যাপ্ত চালক নিয়োগ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচ-ছয় জন নারী সদস্যও আছেন, তাদের প্রশিক্ষণও আমরা শেষ করেছি।
মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিন দায়িত্ব পেলে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কথা জানিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে মেট্রোরেলের চালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মরিয়ম আফিজা।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে মেট্রোরেল উদ্বোধনের ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে দিয়াবাড়ী মাঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহেই স্থান পরিবর্তন করার কথা জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বোধনের দুটি স্পটের কথা জানিয়েছিলাম। তিনি খোলা মাঠে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই হিসেবে দিয়াবাড়ী মাঠে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। উদ্বোধন শেষে প্রথম ট্রেনের যাত্রী হবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি টিকিট কেটে উত্তরা থেকে উঠে আগারগাঁও এসে নামবেন।
মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের কনকোর্স লেভেলে সংবাদ সম্মেলন করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে উদ্বোধনী আয়োজন থেকে শুরু করে ট্রেন পরিচালনার বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
প্রথমদিকে মেট্রোরেল প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে চালবে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। যাত্রীরা মেট্রোরেল ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সময় বাড়ানো হবে।
এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা বলছেন, মেট্রোরেলে জনবল নিয়োগ পুরোপুরি শেষ হয়নি। ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত সবার প্রশিক্ষণও সম্পন্ন হয়নি। এছাড়া ট্রেনগুলো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় পরিচালিত হবে বলে যাত্রী নিয়ে এর চলাচল কিছুদিন দেখতে চায় কর্তৃপক্ষ। যদিও অন্তত ১২টি ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুত আছে, যা দিয়ে প্রতি তিন থেকে পাঁচ মিনিট অন্তর ট্রেন ছাড়া সম্ভব বলে জানায় তারা।
Leave a Reply