অনলাইন ডেস্ক: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে জমিতে উচ্চফলনশীল জাতের পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকের টপলেডি হাইব্রিড নামের এই পেঁপে চাষে কাঙ্খিত ফলনের চেয়েও বেশি পাচ্ছেন। তবে ফল ও সবজি হিসেবে পেঁপে বেশ জনপ্রিয়। শুধু পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য একসময় বাড়ির আঙিনায় চাষ করা হতো ফলটি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় গফরগাঁওয়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করছে পেঁপে। উপজেলার টাংগার ইউনিয়নের আংগারী গ্রামের মো.সামছু উদ্দিনের ছেলে অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন গত দুইবছর যাবত পেপে চাষে সফল হয়েছেন। তিনি প্রথম বার চাহিদার চেয়ে বেশি লাভবান হওয়ায় দ্বিতীয়বারেও পেপে চাষে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী জসিম উদ্দিন ইতোমধ্যে তার ভাগ্য বদলে গেছে বলে যানান তিনি পেঁপে চাষের মধ্যে দিয়ে মো.জসিম উদ্দিনের কৃষিকাজের সফলতা এসেছে।
এখন শত-সহস্র ফলবতী পেঁপের সৌন্দর্যে হাসছেন উপজেলার টাংগাবর ইউনিয়নের আংগারী গ্রামের কৃষক বাণিজ্যিকভাবে সফল পেঁপে চাষি জসিম উদ্দিন পেঁপের বৈজ্ঞানিক নাম- Carica papaya, এরা Caricaceae পরিবারের সদস্য। কাঁচা তথা সবুজ অবস্থায় সবজি এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খাওয়া হয়। পেঁপের অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। ইউনানী নাম পাপিতা, আরানড খরবূযা এবং আয়ুর্বেদিক নাম অমৃততুম্বী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি পেঁপে গাছ। প্রতিটি পেঁপে গাছে ঝুঁলে আছে অসংখ্য পেঁপে। পাঁচ-ছয় ফুট উচ্চতার প্রতিটি গাছেই গুচ্ছাকারে ধরে আছে পেঁপে। যেদিকে চোখ যায় শুধু পেঁপে আর পেঁপে।জসিম উদ্দিন তিনি একাই নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
কৃষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন আমি ১ একর জমিতে গত দুই বছর যাবত পেঁপে চাষ করছি গত বছর আমি এই জমিতে পেঁপে চাষ করে সে বছর প্রায় ৮লক্ষ ৫০হাজার টাকার পেপে আমি বিক্রি করেছি তার মধ্যে সব খরচ বাদে প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো আমি লাভবান হয়েছি ।
এ বছরও আমি একই জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। আমার প্রতিটি গাছেই পেঁপে আসতে শুরু করেছে।তবে গত বছরের তুলনাই এবার একটু ফলন কম তাই আশা করছি এবছরও অন্তত ৩লক্ষ টাকার মত লাভবান হবো। প্রতি কেজি কাঁচা পেঁপে ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করা যায় আর পাকা পেঁপে পিস হিসাবে বিক্রি করা হয়। আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এগুলো বাজারে বিক্রি করবো
পেঁপের ভ্যারাইটি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, আমি এবছরও টপলেডি হাইব্রিড প্রজাতির পেঁপে গাছ লাগিয়েছি এটি একটু লম্বা আকৃতির পেঁপে। এই পেঁপে উন্নত, আকারে বড় এবং খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
তার এই সাফল্যে কৃষি অফিস ও সরকারি কোনো সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, কৃষি অফিস বা সরকারি কোনো অফিস বা কর্মকর্তার কাছ থেকে আমি তেমন কোনো কোনো সাহায্য-সহায়তা পাইনি উপজেলার একজন কৃষি কর্মকর্তা আছে রুহুল আমিন তিনি দুই বছরে তিন বার আমার পেপে বাগান পরিদর্শন করে গিয়েছেন তা ছাড়া আমি ওনাদের কে ডাকিনা।
তা ছাড়া আমি সবসময়ই স্কয়ার কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার আমিনুল ভাইয়ের সাথে সব ধরনের পরামর্শ করি এবং ওনি প্রতি সাপ্তাহে ১দিন আমার পেপে বাগান পরিদর্শন করেন। যেমন বাগানে কোনো ধরনের পুকা মাকড়ের সমস্যা দেখা দিলে আমি স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ প্রয়োগ করি তবে বর্তমানে গাছের যে-কোন সমস্যা তিনি নিজেই বুঝতে পারেন এবং ঔষধ প্রয়োগ করতে পারেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নরুল ইসলাম বলেন পেঁপে চাষ খুব লাভ জনক ব্যবসা যদি কৃষক সঠিক নিয়ম অনুসারে যেমন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি জরুরি আর জদি মুজাহিদ ভাইরাসে আক্রমণ করে তাহলে যে গাছে আক্রমন করবে সে পেপের চারা অবশ্যই সরিয়ে ফেলতে হবে নইলে সব গাছ আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।
আর পেপেঁ পাকানোর চেয়ে কাচা পেপে বিক্রিতে লাভ বেশি আর আমাদের উপসহকারী করর্মকতা রুহুল আমিন নিয়মিত কৃষকের খুঁজ খবর নিচ্ছে এবং আমরা কৃষক জসিম কে সব ধরনের সাহায়তা করবো।
Leave a Reply